টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে রোহিঙ্গা যুবতীর প্রেমে ব্যর্থ হয়ে স্বশন্ত্র হামলায় আহত-৪

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, টেকনাফ:  টেকনাফে অনুপ্রবেশকারী এক সুন্দরী যুবতীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিশোধ নিতে নববিবাহিত রোহিঙ্গা দম্পতির উপর হামলা চালিয়েছে স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্তরা। এতে ৪জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত নতুন জামাইকে উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়,১০ ডিসেম্বর ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা আলীখালীতে স্থাপিত অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০/১২ জনের স্বশস্ত্র মুখোশধারী দূবৃর্ত্ত দল রোহিঙ্গা আলী জোহারের ঘরে গিয়ে নববিবাহিত পুত্র মোঃ ফিরোজ (২৫), মেয়ে হারেছা বেগম, স্ত্রী আরেফা বেগম (৪৯) ও নববধু মারজানকে মারধর করে। এসময় হৈ ছৈ শুরু হলে দূবৃর্ত্তদল এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেন। ফিরোজকে মেয়ে মুমূর্ষ ও রক্তাক্ত করার পর হামলাকারীরা বীরদর্পে চলে যায়। রক্তাক্ত ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে অস্থায়ী ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সকালে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, আব্দুর রহিম নামে এক রোহিঙ্গা গত ২/৩ মাস আগে তার পরিবার নিয়ে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সাথে জনৈক জাবেরের বাগানে আশ্রয় নেয়। তার পরিবারে মারজান নামে এক অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে ছিল। এলাকার চিহ্নিত কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী ও স্বশস্ত্র যুবক প্রতিদিন ঐ বাগানে গিয়ে আড্ডা মেরে মাদক সেবন করত। এই গ্রুপের মধ্যে একজন মারজানকে প্রথম দেখাতে পছন্দ করে ফেলে। পছন্দকারী ঐ যুবক কলা-কৌশল ও ভঙ্গিতে মারজানকে বিয়ে করতে প্রলোভন দেয়। কিন্তু পারিবারিক চাপে মারজান এই ফাঁদে পা দেয়নি। সর্বশেষ আলী জোহার ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে থাকে। এক পর্যায়ে চারিত্রিক বৈশিষ্টের কারণে আলী জোহার ছেলে মোঃ ফিরোজের জন্য বউ হিসেবে মারজানকে পছন্দ করে। গত ৮ ডিসেম্বর রাতে পারিবারিক সম্মতিতে ফিরোজ ও মারজানের বিয়ে হয়। এই খবর শুনে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী ও স্বশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতেই গভীর রাতে হামলা চালিয়ে নতুন জামাই ফিরোজ, বউ মারজানকে গলা চেপে ধরে ধাক্কা দেয়,মা আরেফা ও বোন হারেছা বেগমকে মারধর করে চলে যায় কিন্তু কোন মালামাল লুট করেনি। সকালে এই ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী চক্রের অপতৎপরতা নিয়ে লোকমুখে রসাত্নক আলোচনার সৃষ্টি হয়। তবে আতংকে কেউ স্বশস্ত্র চক্রের সদস্যদের নাম প্রকাশ করেনি। এই চক্রটি উত্তর আলীখালীতে অবৈধ অস্ত্রের মুখে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি করে আসার পর রোহিঙ্গাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটায়।

Comment here