ক্রাইমটেকনাফ

টেকনাফে সওজের জমি দখলের অভিযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি :

টেকনাফে সওজের জমি দখলের অভিযোগ

টেকনাফ পৌরসভার প্রাণকেন্দ্রের প্রধান সড়কে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে একটি চক্রের বিরুদ্ধে। চক্রটি উচ্ছেদ অভিযান ঠেকাতে অর্থকড়ি খরচ করছে এমন অভিযোগও রয়েছে। কক্সবাজার সড়ক বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্টদের উচ্ছেদ নোটিশ দেওয়ার পরেও কোনো সমাধান হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

জানা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার প্রধান সড়কের টেকনাফ হ্যাচ্চার খাল ব্রিজের উত্তর-পশ্চিম অংশ থেকে নাইট্যংপাড়া সড়কের বিশাল এলাকায় ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক ইটের তৈরি দোকান, ক্লাবঘরসহ ভাসমান দোকান। কেউ কেউ এক একটি দোকান থেকে কয়েক লাখ অগ্রিম টাকাও গ্রহণ করেছে দোকান ভাড়া বাবদ। আরো ৩টি দোকানঘর নির্মাণের পিলার তোলার কাজ চলমান।

ইতোমধ্যে এসব দোকানঘর নির্মাণ ও বাধা দেওয়া দুটি গ্রুপের মধ্যে বেশ উত্তেজনাও চলে। এমনকি এ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র পর্যন্ত গড়ায় বিচার সালিশ। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় পৌর মেয়র হাজী ইসলাম বিষযটি দাপ্তরিকভাবে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পত্র দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ কক্সবাজার সওজ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিতপত্র সংশ্লিষ্ট দখলদের কাছে পাঠানো হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সড়ক বিভাগের হুকুম দখলকৃত জমির উপর দখল করে অন-অনুমোদিত বা অন-অধিকারী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এর ফলে মহাসড়কে স্বাভাবিক যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। যা হাইওয়ে অ্যাক্ট সংশোধিত ১৯৯৪ এর ৮ (ক) ও (খ) অনুযায়ী অপরাধ। তাই নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে দখল করা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

যাদের কাছে নৌটিশ পাঠানো হয়েছে তারা হলেন, টেকনাফ পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর শাহা আলম, মো. সলিম উল্লাহ, সভাপতি নাইট্যংপাড়া যুব উন্নয়ন সমিতি।

নোটিশ প্রাপ্তদের মধ্যে মো. সলিম উল্লাহ বলেন, নিজের জোত জমির সামনে সড়ক বিভাগের জমিতে কে কারা ঘর নির্মাণ করেছে, তাদের নোটিশ না নিয়ে কেন আমাকে নোটিশ দেওয়া হলো তা বোধগম্য হচ্ছে না।

স্থানীয় হাজী সোনা মিয়ার ছেলে পৌর কাউন্সিলর শাহা আলম মিয়া বলেন, ‘দখল করলো কে নোটিশ পাঠালো কার জন্য তা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। এখানে দখলদারদের কাছ থেকে মোটা অঙ্ক হাতিয়ে দিয়ে সড়ক বিভাগের লোকজন আমার মান সম্মান ক্ষুণ্ন করেছে।’ তিনি প্রকৃত দখলদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা আশা করছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সওজের নিবার্হী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানিয়েছেন, দখলের বিষয়টি টেকনাফ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ সড়ক বিভাগকে অবহিত করার পর সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ৭ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এখনো জমি ছাড়েনি দখলদাররা। দ্রুত সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।

Comment here