জাতীয়টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে সক্রিয় সীমান্ত অপরাধী ও বেপরোয়া মাদক সিন্ডিকেট

বিশেষ প্রতিনিধি:
কক্সবাজার টেকনাফে হ্নীলায় বিজিবি জওয়ানেরা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে কাউকে আটক করতে না পারলেও তাদের ফেলে যাওয়া মাদকের চালান উদ্ধার করেছে। সীমান্ত পয়েন্ট সমুহে মুখোশের আড়ালে থাকা সীমান্ত অপরাধী এবং স্থানীয় মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সদস্য সক্রিয় থাকায় মাদকের অপতৎপরতা কমানো যাচ্ছেনা।

সুত্র জানায়,২৯ডিসেম্বর (বুধবার) ভোররাত সাড়ে ৪টায় টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের হ্নীলা বিওপির বিশেষ টহল দল আনোয়ার প্রজেক্ট সংলগ্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে বেড়িবাঁধের আড়ে কৌশলে অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর ২জন দূবৃর্ত্ত নাফনদী পার হয়ে বেড়িবাঁধের দিকে আসতে দেখলে বিজিবি জওয়ানেরা তাদের দাড়ানোর চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ধাওয়া করে। তখন দূবৃর্ত্তরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে নিরুপায় হয়ে নাফনদীতে ঝাঁপ দিয়ে ওপারে চলে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি প্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ধার করে ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ৯০লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৩০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।

টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার জানান, জব্দকৃত ইয়াবা পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সুত্র জানায়, হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া, জাদিমোরা, নয়াপাড়া, মোচনী, লেদা, আলীখালী, রঙ্গিখালী, চৌধুরী পাড়া, জালিয়াপাড়া, সুলিশ পাড়া, হোয়াব্রাং, মৌলভী বাজার পয়েন্টে চোরাচালান ও রোহিঙ্গা পারাপারে জড়িতরা স্থানীয় মাদক কারবারী সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত থাকায় পরিত্যক্ত মাদকের চালান উদ্ধার হলেও অনেক ক্ষেত্রে আসামীরা পালিয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে মাদক অপরাধীদের কঠোর হাতে দমন করতে হলে এসব বিষয় গুরুত্বের সাথে নিয়ে পর্যালোচনাপূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা না গেলে সীমান্তের অপতৎপরতা বন্ধ করা যাবেনা। ##

Comment here