রোহিঙ্গা সমাচার

টেকনাফে ৪ দালালসহ ৪৫ জন মালয়েশিয়া গামী জীবিত উদ্ধার : নিহত- ৩ নারী

টেকনাফে ৪ দালালসহ ৪৫ জন মালয়েশিয়া গামী জীবিত উদ্ধার : নিহত- ৩ নারী

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ :

টেকনাফের বাহারছড়া উপকূলের ট্রলার ডুবির ঘটনায় শীলখালী সৈকত থেকে তিন জন নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ নূর মোহাম্মদ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন। অপরদিকে মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন সময়ে ৪ জন দালালসহ ৪৫ জন নারী-পুরুষকে জীবিত উদ্ধার করেছে। সাগরে মালয়েশিয়া গামী ট্রলার ডুবির ঘটনায় (৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার এদের উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপকূলের হলবনিয়া ঘাট,কাদের পাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

টেকনাফের উপকূল থেকে সাগর পথে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া গামী চক্রের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে পূর্বের নাফনদীর কূল ঘেষা এবং পশ্চিমের মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে ও পাহাড়ি বিভিন্ন বাড়ি ঘর গুলো জমায়েত রয়েছে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী লোকজন।
(৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকালে টেকনাফের বাহারছড়া হলবনিয়া ঘাট ও কাদের পাড়া, শীলখালী এলাকা থেকে বিভিন্ন সময়ে ৪৫ জনকে মালয়েশিয়া গামী লোকজনকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। এদের মধ্যে ৪ জান ট্রলার মাঝি ও দালাল। আর বাকি ৪১ জন রোহিঙ্গা। যার মধ্যে ৮ জন নারীও রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে নিশ্চিত করেন কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার আশিক আহমেদ।

জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে দালাল চক্রের পড়ে এসব লোক মালয়েশিয়া যাওয়ার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে আটকে থাকে। এভাবে আটকে রাখা অবস্থায় ২০ সেপ্টেম্বর( মঙ্গলবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় টেকনাফ পৌর এলাকার বাস টার্মিনালের পাশের নাফ নদীর কূল ঘেষা জনৈক জামাল উদ্দিনের বসত বাড়ি থেকে বিজিবি ও পুলিশ আটক করেছে ২২ জনকে। যারা কি না মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রহর গুনছিল। এদের মধ্যে ১৫ জন বাংলাদেশী আর ৭ জন রোহিঙ্গা ছিল। একি ভাবে ৪ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ১৫ দিনের ব্যবধানে পশ্চিম বীচের বাহারছড়া হলবনিয়া ঘাটের পাশে সাগর ডিড়েছে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া গামী লোকজনসহ ফিশিং ট্রলার। সেখান থেকে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা আটক করেছে ৪৫ জনকে। এদের মধ্যে রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশী রয়েছে। এখানে কক্সবাজারের মহেশখালীর ঠিকানা ব্যবহারকারী ৪ জন দালালও রয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার আশিক আহমেদ জানান, নৌকা ডুবে টেকনাফের বাহারছড়া হলবনিয়া ঘাটে লোকজন জড়ো হয়। খবর পেয়ে কোস্ট গার্ডের টিম (৪ অক্টোবর) মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকা থেকে ৪৫ জনকে উদ্ধার করে। এদের মধ্যে ৪ জান ট্রলার মাঝি ও দালাল আর বাকি ৪১ জন রোহিঙ্গা। যার মধ্যে ৮ জন নারীও রয়েছে। এরা সবাই কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বিভিন্ন সময়ে সাগর পথে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য নৌকায় উঠেছে। তিনি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান।
অপর দিকে গত সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগাকাটা এলাকা থেকে ৬ যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরা হচ্ছে আব্দু শুক্কুরের ছেলে মোহাম্মদ ওসমান,নুরুল ইসলামের ছেলে নুরুল কবির, হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুল মেলেকের ছেলে আব্দুল আজিজ, মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে মোহাম্মদ ফারুক ও নুরুল বশর। মোহাম্মদ ওসমানের পিতা আব্দু শুক্কুর এ বিষয় টি নিশ্চিত করে বলেন, ” তাদেরকে খোঁজাখুজি করছি এমন খবর পেয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছে। এরা দল বেধে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ঘর থেকে পালিয়ে এসেছে। আমরা উৎকন্ঠায় রয়েছি।

Comment here