কক্সবাজারক্রাইম

টেকনাফ আনসার ক্যাম্পের অস্ত্র লুটের মূল হোতা রোহিঙ্গা ডাকাত নূর আলম আটক : গহিন অরণ্যে লুন্ঠিত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে অভিযানে নেমেছে র‌্যাব-৭

 

টেকনাফ ভিশন ডটকম :

টেকনাফ নয়া পাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকের অস্ত্র লুট ও আনসার কমান্ডার (পিসি) আলী হোসেন হত্যাকান্ডের মূল হোতা রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলমকে আটক করেছে র‌্যাব-৭। ২৮ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে তাকে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা হতে আটক করা হয়।
র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আশেকুর রহমান জানান, আনসারের অস্ত্র লুটের মূল হোতা রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলমকে আটক করে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।
জানা যায়, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নুর আলমসহ ২০/২৫ জনের সন্ত্রাসী গ্রæপ ২০১৬ সালের ১৩ মে ভোর ২ টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে হামলা চালায়। লুট করে ১১ টি অস্ত্র ও ৬৭০ রাউন্ড গুলি। এতে বাধা দেওয়ায় খুন করে আনসার পিসি আবুল হোসেনকেও।
ওই সময় এ ঘটনায় আটক নুরুল আবছার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। সেখানে উল্লেখ করেন আরএসও নেতা পাকিস্থানী নাগরিক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে এ হামলা হয়েছিলো। এবং লুণ্টিত অস্ত্র গুলো মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও উল্লেখ করে নুরুল আবছার। পরে ৯ জানুয়ারি সোমবার রাতে ও ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে আনসারের লুন্ঠিত ৫টি সহ ১০ টি অস্ত্র ও লুণ্ঠিত ১৮৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এর আগে ৯ জানুয়ারি রবিবার রাতে আটক হয় ওই ঘটনার অন্যতম নায়ক কুতুপালং শরনার্থী শিবিরের র্শীষ সন্ত্রাসী খাইরুল আমিন (বড়) , মাস্টার আবুল কালাম আজাদ ও মোহাম্মদ হাসান আহমদ।
সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজারের কুতুপালং ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা তুমব্রæ গহিন অরন্যে অভিযান চালিয়ে এসব অন্ত্র উদ্ধার করা হয়। জানা যায়, সোমবার রাত ১০ টার দিকে কুতুপালং এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান স্যুটার গান এবং ২৬ রাউন্ড গুলিসহ ৩ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী খাইরুল আমিন (বড়) , মাস্টার আবুল কালাম আজাদ ও মোহাম্মদ হাসান আহমদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। এক পর্যায়ে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রæ পাহাড়ি এলাকার একটি গর্ত হতে দুটি ড্রামের ভিতর হতে উল্লেখিত আনসারের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া উদ্ধার করার হয় তাদের ব্যবহৃত ৩ টি দেশীয় তৈরী বন্দুক।

এরপর র‌্যাব-৭ সদস্যরা মরিয়া হয়ে উঠে লুণ্ঠিত আরো ৬ টি অস্ত্র ও ৪৮১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করতে। অবশেষে এ ঘটনার মুল হোতা নুর আলম আটক হওয়ায় ২৮ ফেব্রæয়ারি রাতে লুণ্ঠিত বাকী অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারে নেমেছে র‌্যাব-৭।

Comment here