আন্তর্জাতিকরোহিঙ্গা সমাচার

টেকনাফ-উখিয়ার ৩৪ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারি উদ্যোগ : একযোগে ৫৬ কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু ১০ আগস্ট

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, কক্সবাজার :

এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকাদান শুরুর মাধ্যম করোনা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার । ১০ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পের ৫৬ টি কেন্দ্রে এক যোগে টিকা প্রদান কার্যক্রম চালানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) শাহ্ রেজওয়ান হায়াত। তিনি জানান, ” ১০ আগস্ট থাকে সরকারী উদ্যোগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভেকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা । সে অনুযায়ী ক্যাম্প সমুহে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ”

সরকার দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়র ‘গণটিকাদান কর্মসূচি’ শুরু করেছে । টিকাদানে শৃঙ্খলা আনতে বয়স ও অঞ্চলকে প্রাধান্য দিয়ে এ গণটিকা কার্যক্রম চলছে। গণটিকাদান কর্মসূচি চলবে আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত।

আগামী ১০ আগস্ট থেকে প্রথম পর্যায়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর উর্দ্ধ বয়সীদের টিকা দেয়া হবে । এ কার্যক্রমে সাড়ে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান বলেন ‘ সরকারি টিকা সরবরাহ করেছে রোহিঙ্গাদের জন্য। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউএনএইচসিআর ও ইউনিসেফসহ কিছু বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অন্য সাপোর্ট দিচ্ছে টিকে কার্যক্রম সফল করতে। ”

অন্য কোন আদেশ না হলে ১০ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা ভেকসিন কার্যক্রম শুরু হবে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১০ থেকে ১২ আগস্ট ৩ দিন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালিত হবে।

কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ আগস্ট রোহিঙ্গাদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলেও ৩ দিনের বেশি টিকা প্রয়োগ করা হতে পারে । এতে ৪৮ হাজার রোহিঙ্গাকে টিকা দেয়া হবে। প্রত্যেককে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হবে।

শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়কারী ডা: আবু তোহা এম আর এইচ ভূইয়া জানান, ‘ টেকনাফ-উখিয়ার ৩৪ টি ক্যাম্পের ৫৬ টি কেন্দ্রে ৪৮ হাজার ৬ ” শ ৫৫ বছরের বয়সোর্দ্ধ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে এ ধাপে টিকাপ্রদানে টার্গেট করা হয়েছে।”

অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপ-সচিব) মোহাম্মদ সামছু- দ্দৌজা বলেন, ” রোহিঙ্গাদের মধ্যে যাতে টিকা গ্রহণের মনোভাব তৈরি হয় সেই জন্য বেশকিছু দিন ধরে সচেতনতা কার্যক্রম চালায় সংশ্লিষ্ট ক্যাম্প ইনচার্জসহ দায়িত্বশীল সংস্থা গুলো। যার ফলে করোনা ভেকসিন দিতে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করছে ক্যাম্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা। ”

রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ জেলায় টিকা ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসনের সব প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারে ২২৮টি টিকাদান কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় ৩৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সব সহযোগিতা দেয়া হয়েছে।

Comment here