টেকনাফ

টেকনাফ বন্দর: নষ্ট পণ্য নিয়ে দ্বন্দ্ব : মিয়ানমারের নৌকা দু” মাস আটকে থাকার পড়ে ছাড়

টেকনাফ বন্দর: নষ্ট পণ্য নিয়ে দ্বন্দ্ব

মিয়ানমারের নৌকা দু” মাস আটকে থাকার পড়ে ছাড়

টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফে স্হল বন্দরে দু” মাস ধরে আটকে রাখা একটি বানিজ্যিক নৌকা ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ।
মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে আসা নৌকাটি ১ জুলাই সুপারি, আধাসহ বিভিন্ন পণ্য নিয়ে টেকনাফ বন্দরে ভিড়ে। এরপর লবনাক্ত পানি ঢুকিয়ে নষ্ট পণ্য ডেলিভারি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ভুক্তভোগী
টেকনাফের সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবসায়ীরা এটি আটকে রাখে। অবশেষে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি ও উদার বানিজ্যিক মনোভাব বিবেচনা করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও এসি ল্যান্ড এরফানুল হক চৌধুরী ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে বন্দর সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠক শেষে নৌকাটি ছেড়ে দেন। সংবাদের নিশ্চিত করে এরফানুল হক চৌধুরী বলেন, ” মিয়ানমার থেকে নষ্ট পণ্য এনে টেকনাফ বন্দরে ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে নৌকাটি আটকে রাখা হয়েছিল। পরে খবর পেয়ে নৌকাটি ছাড় করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে দু” দেশের ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্সি বসে সমাধান করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।”
টেকনাফ স্হল বন্দরের সেভেন স্টার সিএন্ডএফ এজেন্ট এর ইনচার্জ আরফাতুর রহীম জানান, ” মিয়ানমার থেকে ৬ কোটরা ভর্তি পণ্য নিয়ে গত ১ জুলাই টেকনাফ ভিড়ে নৌকাটি। মিয়ানমারের তুআইনজি নামক সিএন্ডএফ এজেন্ট কতৃপক্ষ পণ্যের সমস্ত লেনদেন শেষ করে নৌকাটি টেকনাফ বন্দরে ভিড়িয়ে দেয়। কিন্তু পণ্য আনলোড করার সময় দেখা যায় একটি কোটরার প্রায় ৫ শতাধিক বস্তাবন্দি আধা, সুপারিসহ এক কোটি টাকা মূল্যের পণ্য লবনাক্ত পানি ঢুকে নষ্ট। এতে আমার ৩৫৬ বস্তা ছাড়া ও ব্যবসায়ী ফেরদৌসের ৫০ বস্তা ও সাদ্দামের ৯০ বস্তা পণ্য। ”
এ বিষয় নিয়ে কোন ধরনের সমঝোতা না হওয়ায় টেকনাফ স্হল বন্দর কতৃপক্ষ ও রাজস্ব বিভাগের দায়িত্ব শীলকে অবহিত করে নৌকাটি মিয়ানমারে ফিরে যেতে বাধ্য দেওয়া হয়েছিল।
এ ঘটনার বিষয়ে টেকনাফ ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্হাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ” টেকনাফে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে আসা নৌকাটি আটকে রেখেছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বন্দর ব্যবস্হাপনা কমিটির সভাপতি এরফানুল হক চৌধুরী সমন্বয় করে এটির সমাধান দিয়েছেন। ‘
অপর দিকে টেকনাফ বন্দরে প্রধান ফটকের সামনে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা বেশ কিছু দোকান উচ্ছেদ ও রাস্তায় পাশে দাড়িয়ে থেকে যানজট সৃষ্টি করা ট্রাক সরিয়ে দেওয়ার অভিযান চালানো হয়। এ সময় টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানসহ বন্দর সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

Comment here