কক্সবাজারজাতীয়টেকনাফসারাদেশ

টয়লেটে ইয়াবা প্রসব করলো শাহপরীরদ্বীপের আকতার

বিশেষ প্রতিনিধি:আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চোখকে ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পেটের ভেতরে করে সুকৌশলে ইয়াবা বহন করে আসছিলেন শাহপরীরদ্বীপের ডাংগর পাড়ার শীর্ষ মানবপাচারকারী হাসিনার ছেলে মো. আক্তার ফারুক।বছর পর পর নাইলে তার নানা নুরা ইয়াবা নিয়ে আটক হয়,তারা দীর্ঘদিন ইয়াবা পাচারে জড়িত তারা আগে ছিল মানবপাচারকারী।

টেপ মোড়ানো পোটলাগুলো সংরক্ষণ করতো পেটের ভেতর। প্রতি পোটলাতে ছিল ৩০ পিস করে ইয়াবার পিস। পুলিশের কাছে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য।
গত ১২ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে এক হাজার ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ তাকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) রাতে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। আটক মো. আক্তার ফারুক (১৮) কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার শাহপরীরদ্বীপ ডাংগর পাড়ার শীর্ষ মানবপাচারকারীী হাসিনার ছেলে ।

পুলিশ জানায়, রাজধানী ঢাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ ও পুলিশের আইজিপি আগমন উপলক্ষ্যে বেশ কয়েকটি বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয় ১২ নভেম্বর সন্ধ্যার পর। ওইদিন রাতে আসামি মো. আক্তার ফারুক পতেঙ্গা স্কুলের সামনে হেঁটে আসার সময় তার গতিবিধি সন্দেহে হলে তাকে দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার কাছে ইয়াবা ট্যাবলেট থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে কাটগড় ডায়াগনস্টিক এন্ড রিসার্চ সেন্টারের পরীক্ষা মাধ্যমে সনাক্ত করা হয় তার পেটের ভেতরে ইয়াবা রাখার বিষয়টি। সেখানে দুইজন সাক্ষীদের উপস্থিতি টয়লেটে গিয়ে পেটের ভেতর থেকে বের করে টেপ মোড়ানো ইয়াবা পোটলাগুলো। এসময় মোট ৩৫টি পোটলায় এক হাজার ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার অপারশেন অফিসার (এসআই) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘মো. আক্তার ফারুক ও তার মা কজন প্রফেশনাল ইয়াবা ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি মেরে পেটের ভেতর করে সুকৌশলে ইয়াবা পাচার করে আসছিলেন তিনি। এ ঘটনায় ১০৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

Comment here