ক্রাইমজাতীয়টেকনাফসারাদেশ

দারিদ্র্যতায় পারিবারিক কলহ-! নিজও ৩সন্তানের বিষপান :দু’মৃতদেহ উদ্বার

নিজস্ব সংবাদদাতা :
টেকনাফ উপজেলার সাবরাংয়ের শাহপরীরদ্বীপে একই পরিবারে দু’জনের মৃত দেহ ও দু’জনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্বার করেছে স্বজনরা। মৃতরা হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপ জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা, রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ার (৩৭) ও তার মেয়ে রাফিয়া(১০)।
শিশু মেয়ে মাহিয়া ও এক পুত্র কে মুমূর্ষু অবস্থায়
কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,
রোহিঙ্গা নাগরিক আনোয়ার (৩৭) ও তার পরিবার বহুবছর ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে এদেশে বসবাস করছে। তাহার অন্যান্য আত্বীয় স্বজন চট্রগ্রামের কোথাও বসবাস করলেও আনোয়ার স্থানীয় ইমাম শরিফ ওরফে কানপুরা মাঝির মেয়ে হুসনে আরার (৩৫)কে বিবাহ করে জালিয়াপাড়া থাকত। বেশ কিছুদিন সংসার সুখে থাকলেও গেল কিছুদিন ধরে তাদের মাঝে পারিবারিক কলহে মলোমালিন্য চলছে। প্রতিবেশী একব্যক্তি জানান, কয়েকদিন আগে আনোয়ার মাছ ও তরিতরকারি নিয়ে বাড়ীতে আসলে স্ত্রী হুসনে আরা মাছ ও তরিতরকারি হাত থেকে কেরে নিয়ে বাহিরে ফেলে দেয়। সর্বশেষ ১১ডিসেম্বর স্বামী -স্ত্রীর কথাকাটির জের ধরে স্ত্রী দুগ্ধজাত শিশুকে নিয়ে কোথাও পালিয়ে যায়। এই ক্ষোভে শনিবার দিবাগত রাত ৮ টার পর যে কোন সময়ে নিজ ৩সন্তানকে বিষপান করিয়ে নিজেই বিষ পান করেন। সকালে মাহিয়া নামে বেচে থাকা শিশুকন্যারা পিতা ও বড় বোন রাফির নিথর দেহ দেখে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এসে তাদের মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মাহিয়াসহ ২ জনকে কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মাহিয়া কিছুটা সুস্থ হলে সাথে থাকাদের জানায়, তারা পিতাসহ রাতে ডিম ও দূধ দিয়ে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে এবং সকালে পিতা ও বোনের নিথর দেহ দেখে কান্নাকাটি করলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে।
এদিকে অনেকে জানায় আনোয়ার পেশায় জেলে। হরহামেশায় অভাব ও দারিদ্র্যতার কারনে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। অভাবেই আজ একটি সম্ভাবনাময় পরিবারের অবুঝ ৩শিশুসহ বিপদজনক ঘটনার পথ বেচে নেই। বর্তমানে স্ত্রী পলাতক রয়েছে।

Comment here