ক্রাইমটেকনাফ

পাচার ঠেকাতে তৎপর বিজিবি : নাফ নদী কেন্দ্রিক ইয়াবা সিন্ডিকেট সক্রিয় !


টেকনাফ প্রতিনিধি :
বন্দুক যুদ্ধে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিদের প্রতিনিয়ত প্রাণহানীও থামাতে পারছেনা ইয়াবা পাচার। সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মিয়ানমার হতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে মাদক। বিশেষ করে নাফনদী দিয়ে সময় সুযোগ বুঝে পাচারকারী সিন্ডিকেট এসব ইয়াবাসহ মাদক পাচার অব্যাহত রেখেছে। সীমান্তরক্ষী বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশ অভিযান পরিচালনা জোরদার করেছে নদী , সীমান্ত ও স্থলে । ইয়াবা প্রতিরোধ কল্পে নাফনদীতে মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে বছর দুয়েক ধরে। এরপরও নাইট্যং পাড়া, কায়ুকখালী পাড়া, চৌধুরী পাড়া, উত্তর জালিয়া পাড়া, মধ্যম জালিয়া পাড়া, দক্ষিণ জালিয়া পাড়া খাংখার ডেইল সীমান্ত দিয়ে সক্রিয় রয়েছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। নাইট্যং পাড়ার ইউনুচ সিন্ডিকেট, কায়ুকখালী পাড়ায় আজিম সিন্ডিকেট, চৌধুরী পাড়ায় খোকন সিন্ডিকেট মধ্যম জালিয়া পাড়া ইউনুচ-হেলাল, দক্ষিণ জালিয়া পাড়া সোনা মিয়া-সোনা মেহের সিন্ডিকেট সক্রিয় রয়েছে। জানা যায়, টেকনাফ পৌর সভার জালিয়া পাড়া গফুর মেম্বারের পজেক্ট ও মিজ্জির খাড়ী এলাকা দিয়ে নাফনদী অতিক্রম করে পাচারকারী সদস্যরা অমাবশ্যা. পূর্নিমা, দিন রাত ও সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর পাহারা বিবেচনা করে সুকৌশলে মিয়ানমার হতে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রেখেছে। বিশেষ করে জালিয়া পাড়ার খোকন, ইউনুচ, আজিম ও হেলাল সিন্ডিকেট সদস্যরা একাধিক মাদক মামলায় জড়িত থাকলেও পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকায় এ চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না বলেও জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, মাঝে মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনী মালিক বিহীন ইয়াবা উদ্ধার করে। অভিযানে গেলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে এসব পাচারকারীরা স্থানীয় মাদক বিরুধী লোকজনকে উল্টা হুমকি দিয়ে থাকে। পাচারকারীদের সন্দেহ এলাকার মাদক বিরুধী লোকজনই তাদের পাচারকাজে বাধা সৃষ্টি করছে। ফলে অনেকে ঝামেলা এড়াতে এসব এলাকা দিয়ে প্রকাশ্যে মাদক আনানেওয়া হয়ে থাকলেও আইনশৃংখলা বাহিনীকে তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করছে বলে জানান। এদিকে সীমান্ত দিয়ে মাদাক পাচার প্রতিরোধে বিজিবি টহল জোরদার রেখেছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি ২ ব্যাটলিয়ান কমান্ডার লে. কর্ণেল মো: ফয়সল হাসান খান।

Comment here