পরকীয়ার জের মাইকে তালাকের ঘোষনা

ইব্রাহীম মাহমুদ, টেকনাফ:
পরকিয়া একটি মহা একটি রোগ। যে রোগে মজছে নারী-পুরুষ। ভাংচে সংসার। চলছে স্বামী-স্ত্রীর অভিমান। এমন অহরহ ঘটনা নিত্যদিনের। এরই জেরে বেড়েছে আত্মহত্যা ও তালাকের ঘটনা। এমন এক স্ত্রীর পরকীয়ার অভিমানে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং খারাংখালী এলাকায় ঘটেছে ব্যতিক্রম ও আলোচিত ঘটনা। প্রকাশ্য দিবালোকে মাইকে স্ত্রীকে তালাকের ঘোষনা দিয়েছে প্রবাসী স্বামী।
কক্সবাজারের টেকনাফে পরকীয়া সম্পর্কের অভিযোগে মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন ছৈয়দ নুর নামের এক ব্যক্তি। এ-সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউপির খারাংখালী এলাকায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। ১ মিনিট ৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে ছৈয়দ নুরকে বলতে শোনা যায়, তিনি তার স্ত্রীকে আদালতের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠিয়েছেন। তারপরও তার স্ত্রী তার বাড়িতেই আছেন। এমনকি পরকীয়া সম্পর্কেও লিপ্ত। এজন্য তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা দেন। এসময় তাকে এক তালাক, দুই তালাক, তিন তালাক বলতে শোনা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হোয়াইক্যং খারাংখালী এলাকার প্রবাসী ছৈয়দ নুরের স্ত্রী ওই নারী। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে তিনি এক প্রতিবেশীর (২০) সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও অবৈধ সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেননি ওই নারী। পরে ছৈয়দ নুর আদালতের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠান। তারপরও বাড়িতেই থেকে যান ওই নারী।
জনসম্মুখে তালাক দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ছৈয়দ নুর বলেন, ‘আদালতের মাধ্যমে তালাকনামা পাঠানোর পরও স্ত্রী বাড়ি ছাড়ছে না। এমনকী এ অবস্থাতেও সে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য বাধ্য হয়ে জনসম্মুখে তালাক দিয়েছি।’
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হাফিজুর রহমান বলেন, ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ আইনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য আসেননি।