টেকনাফ

পুলিশ পরিচয়ে মুদি দোকানদার অপহরণ অত:পর কৌশলে পালালো অপহরনকারী চক্র

টেকনাফ (কক্সবাজার ) প্রতিনিধি :
পুলিশ পরিচয়ে মুদি দোকানদারকে উঠিয়ে নিয়ে অত:পর কৌশলে পালিয়ে গেলো অপহরনকারী সিন্ডিকেট প্রধান হাজী মালেক। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবির ছড়া গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে।
টেকনাফের হাবির ছড়া গ্রামে গত ১২ আগস্ট রবিবার সন্ধ্যায় ঘটে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী মুদি দোকানদার হচ্ছে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবির ছড়া এলাকার হাজী ছৈয়দ আহমদের ছেলে মো: আমান উল্লাহ (৫৪)। জানা যায়, ববিবার সন্ধ্যা পোনে ৭ টার দিকে হাবির ছড়া গ্রামের প্রধান সড়কের মুদি দোকান থেকে একটি কালো রঙের নোহা মাইক্রো গাড়ী থেকে ৬/৭ জন লোক থানার পুলিশের পরিচয়ে দোকানদার আমান উল্লাহকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। কিছুদুর গিয়ে মোবাইল ফোনে পরিবারের কাছে খবর পাঠানো হয়, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পৌঁছানো হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে না হয় ইয়াবাসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হবে। এক পযার্য়ে গাড়ী চালককে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপহৃতজনসহ গাড়ীটি কক্সবাজার পর্যন্ত যেতে বলে চক্রটি। কিন্তু গাড়ী চালক ছিলো সচেতন। তিনি তাদেরকে বলেন তার গাড়ীর কাগজপত্র ঠিক নেই তাই যেতে পারবেন না। কৌশলে গাড়ী চালক টেকনাফ থানার সামনে নিয়ে আসেন। তখন চক্র প্রধান কৌশলে গাড়ী থেকে নেমে আমান উল্লাহকে থানায় নিয়ে যাবে এক্ষুনি না হয় তারাতারি দাবীকৃত টাকা আনতে বলে। শুধু তাই নয় হাজী আব্দুল মালেক অপহরন করে নিয়ে আসা আমান উল্লাহর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম তার বন্ধুর মোবাইল চুরি করেছে মর্মে থানায় একটি অভিযোগ দিয়ে আমান উল্লাহকে থানায় পুলিশের এসআই বিবেকের হাতে তুলে দেয়। এর পর কৌশলে হাজী মালেক দলবল সহ টেকনাফ ত্যাগ করে। পরে অপহৃত আমান উল্লাহ’র স্বজনরা টেকনাফ মডেল থানায় খোজঁ নিতে থাকে। এক পযার্য়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই বিবেক’র হেফাজতে তাকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে আমান উল্লাহকে সোমবার বিকেল ৫ টায় সালিশে হাজির করার শর্তে জিম্মায় নিয়ে যায়। ১৩ আগস্ট সোমবার বিকেলে আমান উল্লাহ থানায় হাজির হলেও বাদী হাজির হয়নি। এ ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার এসআই বিবেক বলেন, থানার সামনে একদল লোক ধস্তাধস্তী করছে এমন সংবাদে এদেরকে আনা হয়। পরে তাদেও উভয় পক্ষকে সোমবার বিকেল ৫ টায় থানায় হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়। এরপর বিবাদী হাজির হলেও বাদী হাজির হয়নি। এরপর মো: আমান উল্লাহও একটি অভিযোগ দিয়েছে। তারা পরস্পর আত্বীয়। মুদি দোকানদার মো: আমান উল্লাহ বলেন, হাজী আব্দুল কাদের , বিভিন্ন দেশে মানুষ পৌছানোর কথা বলে এলাকার অনেকেকে ফতুর বানিয়েছে। এ সংক্রান্ত মানব পাচারেরও মামলা রয়েছে তার বিরোদ্ধে। সে বর্তমানে ঢাকায় বসবাস করে ইয়াবা ও আদম ব্যবসা করে। বছরে ২/১ বার প্রিন্স’র মত করে কয়েকটি গ্রুপ নিয়ে এলাকায় আসে। তিনি আরো বলেন, পুলিশের পরিচয় দিয়ে তাকে দোকান থেকে খালি গায়ে উঠিয়ে নিয়ে ৩০ হাজার টাকার ভাড়ায় কক্সবাজারের দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। গাড়ী চালকের কৌশলের কারনে বেচেঁ যায়।
অভিযুক্ত হাজী আব্দুল মালেক মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, আমার এক বন্ধুর মোবাইল চুরি করেছে মো: আমান উল্লাহ’র ছেলে জাহাঙ্গীর। আসছিলাম জাহাঙ্গীরকে তুলে নিতে। তাকে পায়নি তাই পিতাকে তুলে নিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে আমার কেউ কিছু করতে পারবেনা। আমি আমার জায়গায় সঠিক আছি।
তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন। টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া বলেন, অবিনব এসব কৌশল অপরাধীরা গ্রহণ করছে। এদের কারনে প্রশাসনের ভাবমুর্তী জড়িত। তাই বিষয়টি গভীর ভাবে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Comment here