টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

পুড়ে গেছে ২১ টি দোকান : আহত-১ : টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারে আগুন


জাবেদ ইকবাল চৌধুরী :
টেকনাফের লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাজারটি পুড়ে গেছে। ১৩ ডিসেম্বর রাত সোয়া ৮ টার সময় বাজারের অভ্যান্তরের একটি ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে ধারনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে স্থানীয়দের কেউ কেউ জনৈক আব্বাসের চা’র দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে জানিয়েছেন। প্রায় সোয়া ১ ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯ টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে দমকল বাহিনী। এরই মধ্যে ২১ টি দোকান ও ২ টি বাড়ি আগুনে পুড়ে যায় বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার (উপ সহকারী পরিচালক) দিদারুল আলম। তিনি জানান, টেকনাফের ২ টি ও উখিয়ার ১ টিসহ মোট ৩ টি ইউনিট চেষ্টা করে রাত সাড়ে ৯ টার সময় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। এর আগে সোয়া ৮ টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে আগুন লাগার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে রওয়ানা দেয়। কিন্তুসরু রাস্তার কারনে ক্যাম্পে কর্মীরা যথাসময়ে পৌছঁতে বেশ কিছু সময় বিলম্ব হয়। এ ছাড়া সেখানে পানি স্বল্পতাও কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। তরে স্থানীয় অধিবাসী, রোহিঙ্গা জনগোষ্টি, পুলিশ -বিজিবি, এনজিও ও প্রশাসনের দায়িত্বশীলরা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে সহায়তা করায় হতাহতের ঘটনা ঘঠেনি। যদিও বেশ কিছু দোকানের মালামাল পুড়ে যায়। এ সময়ের মধ্যে প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসেব দেওয়া সম্ভব নয় বলৌ জানান তিনি। আগুণের খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন সিদ্দিক, নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরর্নাথী ক্যাম্পে ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন।
এদিকে খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, লেদা রোহিঙ্গা বস্তির জনগোষ্টির উপর ভিত্তি করে এ বাজারটি গড়ে উঠে। এখানের ৮৫ ভাগ দোকান স্থানীয় এলাকাবাসীর। বাকি কয়েকটি দোকান রোহিঙ্গাদের। সকালেও অনেকে ভাসমান দোকান বসিয়ে থাকে এখানে। রাতে আগুনের লেলিহান শিকায় শত শত লোকজন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এ ফাঁেক ২১ দোকান ও ২ টি ঘর পুড়ে যায়। পুড়ে যাওয়া দোকানদার শামসুল আলম বলেন, এ বাজারের সব চেয়ে বড় দোকানটি তার। যেখানে অর্ধ কোটি টাকার পন্য ছিলো। তবে এলাকার লোকজনের সহায়তায় বেশীর ভাগ মালামাল সরিয়ে ফেলা সম্ভও হয়েছে। মালামাল সরাতে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছেন লেদাতে বসবাসকারী মিয়ানমারের কেয়ারী প্রাং ্এলাকার শফি আলমের ছেলে সৈয়দ আহমদ (৩৫)। তিনি জানান, আগুন দেখে এগিয়ে এসে মালামাল সরাতে গিয়ে তিনি আহত হন। পরে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নেন।

Comment here