টেকনাফ

ফলোআপ : হ্নীলায় জনতার সহায়তায় অপহৃত রোহিঙ্গা উদ্ধার

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম / সাদ্দাম হোসাইন / ফরিদুল আলম : হ্নীলায় চিহ্নিত স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্তদের হাতে অপহরণের শিকার রোহিঙ্গাকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ৭২ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার আতংকিত পরিবারসহ পুরো বস্তিতে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
জানা যায়, ১৮ডিসেম্বর সকাল ১১টায় চাপের মুখে নিরুপায় হয়ে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার জামাল হোছনের ভাই হেলালের নিকট চিহ্নিত স্বশস্ত্র দূর্বৃত্ত চক্রের সদস্যরা অপহৃত রোহিঙ্গা ওমর হাকিম (৫০) কে দিয়ে দ্রæত পালিয়ে যায়। এরই পর অপহৃতের পরিবার খবর পেয়ে ওমর হাকিমকে বস্তির বাড়িতে নিয়ে যায়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা ওমর হাকিমকে এক নজর দেখার জন্য স্থানীয় জনসাধারণ ও রোহিঙ্গারা ভিড় জমায়। উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর রাত ১১টারদিকে রঙ্গিখালী জুম্মাপাড়ার ছালেহ আহমদের পুত্র মাঈন উদ্দিনের নেতৃত্বে আলীখালী, লেদা ও নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের চিহ্নিত স্বশস্ত্র গ্রæপের ১০/১২জন সদস্য নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আওতাধীন আলীখালীতে আশ্রয় নেওয়া সি-বøকের শেল্টার নং-ডি-৫৫ এবং কার্ড নং-২৬৫৫ এবং মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার হাইসুরাতার মৃত মোহাব্বত আলীর পুত্র ওমর হাকিম (৫০)কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর দফায় দফায় মুক্তিপণ দাবী করে অপহৃত রোহিঙ্গাকে অমানুষিক নির্যাতন করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সংবাদকর্মীরা মাঈন উদ্দিন গং কর্তৃক রোহিঙ্গা অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রঙ্গিখালী গাজীপাড়ার লোকজনের সহায়তা কামনা করলে আব্দুল্লাহ, জুহুর আলম, খালেক ও মুরাদের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি গ্রæপ মাঈন উদ্দিনের পরিবারকে চাপ দিয়ে আসলে শেষ পর্যন্ত নিরুপায় হয়ে অপহৃত ওমর হাকিমকে ফেরত দিতে বাধ্য হয়। তাদের এই ধরনের সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করেন এলাকাবাসী।
এই ব্যাপারে ফিরে আসা ওমর হাকিম জানায়,মুখোশধারী স্বশস্ত্র দূবৃর্ত্তরা তাকে লেদা টাওয়ার হয়ে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করে। খাবার ও পানি চাইলে প্রশ্রাব খেতে বলে এবং সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে ইয়াবার চালান ও ৯০ভরি স্বর্ণ দেখিয়ে দিতে বলে শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত করেন। তাকে উদ্ধার করতে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে দূবৃর্ত্ত দল গভীর রাতে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে একবার জাদিমোরার দিকে নিয়ে যায়। উদ্ধারকারী দল সেখানেও গেলে অপহরণকারীরা নিরুপায় হয়ে আবারো শেষ পর্যন্ত তাদের আরেক আস্তানায় নিয়ে গিয়ে রাখে। শেষ পর্যন্ত দূবৃর্ত্তদল অসহায় হয়ে অপহৃতকে ফেরত দিতে বাধ্য হয়। অপহৃত ওমর হাকিমকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়ে পরিবারসহ সকলের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
স্থানীয় গ্রামবাসী চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও অপহরণরোধে স্থানীয় চিহ্নিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আহবান জানিয়েছেন।

Comment here