অন্যান্য

ফেইসবুকে জ্ঞান পাপী জনৈক মিনারের লঙ্কাকান্ড নিয়ে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন

 : সম্প্রতি দেশ থেকে মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মাদক বিরোধী অভিযানে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই অভিযানকে দেশের আপামর জনসাধারণ সাধুবাদ জানালেও শুরু থেকেই প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। মাদক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদকের সাথে জড়িত যে দলেরই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের কিছু মানুষ অভিযান বন্ধের জন্য মায়া কান্না করে যাচ্ছে। যাহা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। সম্প্রতি মিনার খান নামের জনৈক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সফল ব্যক্তিত্ব পুলিশ পরিদর্শক রঞ্জিত কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে তথ্য বিবর্জিত মানহানিকর ও কু-রুচি পূর্ণ স্ট্যাটাসে বিস্মিত হয়েছে কক্সবাজার জেলার সাধারণ মানুষ। জনৈক ব্যক্তির আইডি অনুযায়ী সে ইতালিয়ান প্রবাসি। যদি ইতালিতে বসে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দূর্নীতির খবর জানে জনৈক জ্ঞান পাপী তা হলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম কি করে? জানতে চায় সাধারণ মানুষ। আপনি ফেনী জেলার দাগন ভূইঁয়া উপজেলার বাসিন্দা। হে জ্ঞান পাপী, আপনি আপনার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ওসি রঞ্জিত বড়ুয়া টেকনাফ পদায়ন হওয়ার আগে কক্সবাজার সদর থানার ওসির দায়িত্ব পালন কালে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা আটকের পর ” আত্মসাতের ” অভিযোগে স্বল্প সময়ের জন্য সদর থানা থেকে ক্লোজ হলেও ৭/৮ দিন পর পুনরায় টেকনাফ প্রাাইজ পোষ্টিং হয়ে ওসি হিসাবে গত ২ মাস পুর্বে যোগদান করেন। হে জ্ঞান পাপী জনৈক মিনার খান, আপনার প্রতি কক্সবাজার জেলার সাধারণ মানুষের প্রশ্ন ঐ সময় কি ঘটনা স্থলে আপনি উপস্থিত ছিলেন? যদি উপস্থিত থাকেন তাহলে আপনার কাছে যতেষ্ট ডকুমেন্ট আছে। তা হলে ছদ্মবেশী না হয়ে ডকুমেন্টসহ সরাসরি কথা বলুন দেশ ও মানুষের স্বার্থে। আর যদি না থাকেন তা হলে আপনি কি ভাবে কোন সাহসে বললেন উপরোক্ত কথা গুলো। উক্ত স্ট্যাটাসে আপনি আরো লিখছেন, কোন অফিসার কোথায় ও কোন অপারেশনে যত মাল উদ্ধার করুক অন্য ওসি হলে ৩ ভাগের ২ ভাগ তাকে জানায় কিন্ত রঞ্জিত বাবুর বেলায় ১ পিস এদিক সেদিক করার উপায় নাকি নাই। হ্যাঁ, আপনি ভাল বলছেন, তিনিই একমাত্র পুলিশ পরিদর্শক যিনি স্মরণ কালের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে টেকনাফ থানায়। গত ৩ মাসে উক্ত থানার নানা সফলতায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে কক্সবাজার জেলা জুড়ে। ওসি রঞ্জিত বড়ুয়ার নেতৃত্বে টেকনাফ থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে গত ৩ মাসে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার, ১১টি অস্ত্র উদ্ধারসহ ৭৫ জনকে মাদক সংক্রান্তে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেন। যার ফলে উক্ত থানার ওসি রঞ্জিত বড়ুয়া চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ট পুলিশ পরিদর্শক হয়ে অর্জন করেন শ্রেষ্ট ওসি র সম্মাননা। এ ছাড়াও টেকনাফ থানায় যোগদানের পর ২ বার জেলার শ্রেষ্ট ওসির সম্মাননা পান। ওসি রঞ্জিত কুমার বড়ুয়ার সফলতার মধ্যে রয়েছে, ১ মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত তাহার নিদের্শনায় থানার পুলিশ সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার ইয়াবাবড়ি উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত ইয়াবার বাজার মূল্য অন্তত ৫৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বলে জানা গেছে। এসময় পুলিশ ৪০টি মাদক মামলার বিপরীতে ৪৫ জন আসামীকে হাতে নাতে আটক করেন। উক্ত সময়ে পুলিশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭টি এলজি, ৩টি বন্দুক, ১টি পিস্তল ও ২০রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেন। মুখোশধারী জনৈক মিনার খান স্ট্যাটাসে আপনি লিখছেন, রঞ্জিত বাবুদের যদি প্রবেশদ্বারের চেয়ারে বসিয়ে আর বদিদের ওমরা পালনে পাঠিয়ে কাকে ক্রস ফায়ার দিয়ে ইয়াবা বন্ধ হবে কে দিবে আমার প্রশ্নের উওর বলেন? আপনার প্রশ্ন ব্যক্তি আক্রোশী/ দালালী এবং জামাত বি এন পি ও মাদক ব্যবসায়ীদেরএজেন্ডা বাস্তবায়নের মিশন। এখন সাধারণ মানুষ মনে করেন আপনি রাষ্ট্রের গোপন তথ্য ফাঁস কারী যাহা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। তারা মনে করছেন আপনার বিরুদ্ধে জঙ্গি মদদ ও সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকতে পারে যাহা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল। এদিকে রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া জানান, ইয়াবার বিরুদ্ধে উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আমি যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মাননীয় আইজিপির নিদের্শনায় ইয়াবা পাচার শুন্যের কোটায় নিয়ে আসতে এ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো জানান, পুলিশের মৌলিক কাজ আইন শৃংখলার দায়িত্ব হলেও সীমিত সংখ্যক জনবল নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।

Comment here