টেকনাফ

মানসিক ভারসাম্যহীনদের খাবার বিতরণ করছে ‘মারোত’ : ১০ শর্য্যার আইসোলেশন বেড, ৪ টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ
করোনা’র প্রাদূর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে টেকনাফে প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তালিকা ভূক্ত ২২৩ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের মধ্যে ৫২ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। এর মধ্যে ৯ জনের সময় অতিবাহিত হওয়ায় তারা রিলিজ পেয়েছেন। অন্যদিকে এখনো বিদেশ হতে এসে কোয়ারেন্টাইনে না আসাদের খুজেঁ বের করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ বরাবরেও প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে যাতে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এদিকে টেকনাফে করোনা আক্রান্ত হলে যাতে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সেই লক্ষে ১০ শর্য্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওর্য়াড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আরো ৪টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সে গুলো হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভার এলাকার ‘আলো রিসোর্ট’ , ‘সী কোরাল’,‘ মিল্কী রির্সোট’ ও মেরিন সিটি হাসপাতাল। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, টেকনাফে যৌথ বাহিনী জনসমাগম রুধে টহল জোরদার করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে প্রচার পত্র বিলি ও মাইকিং অব্যাহত রেখেছে। তা ছাড়া বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করনে কার্যক্রম জোরদার করেছে। তিনি আরো বলেন, এখনো করোনা আক্রান্ত কোন রোগী টেকনাফ এলাকায় যাওয়া যায় নি। তারপরও আইসোলেশন বেড, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক এ ধরনের তৎপরতায় স্থানীয়রা দারুনভাবে সাড়া দিয়েছে। এভাবে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী যদি সবকিছু প্রতিপালন করা যায় তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা ইনশাআল্লাহ মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব হতে মুক্ত থাকবো। এসব কার্যক্রম তদারকরি জন্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সমুহ পর্যবেক্ষণ করেন। এ প্রসংগে ইউএনও মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় টেকনাফে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মানসিক ভারসাম্যহীনদের খাবার বিতরণ
অপরদিকে গত কয়েকদিন যাবত টেকনাফে সকল দোকানপাট, হোটেল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) শতাধিক মানুষ। এদের অবস্থা চিন্তা করে মানসিক রোগীদের জন্য তহবিল ‘মারোত’ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে দৈনিক এক বেলা করে দুপুরের খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। গত তিন দিন ধরে মারোতের উপদেষ্টা আবু সুফিয়ান মোটর সাইকেল যোগে নিজস্ব উদ্যোগে খাবার রান্না করে টেকনাফ শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন এসব নারী পুরুষকে খাবার দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে সংগঠনের উদ্যোগে এ কাজ টি চালু রেখেছি। এ ধরনের মহৎ কাজে অন্য যে কেউ এগিয়ে আসলে তাদের স্বাগত জানানো হবে
জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ
করোনা’র প্রাদূর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে টেকনাফে প্রশাসনিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত তালিকা ভূক্ত ২২৩ জন বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের মধ্যে ৫২ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল। এর মধ্যে ৯ জনের সময় অতিবাহিত হওয়ায় তারা রিলিজ পেয়েছেন। অন্যদিকে এখনো বিদেশ হতে এসে কোয়ারেন্টাইনে না আসাদের খুজেঁ বের করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদসহ প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষ বরাবরেও প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে যাতে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এদিকে টেকনাফে করোনা আক্রান্ত হলে যাতে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া সেই লক্ষে ১০ শর্য্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওর্য়াড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আরো ৪টি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সে গুলো হচ্ছে টেকনাফ পৌরসভার এলাকার ‘আলো রিসোর্ট’ , ‘সী কোরাল’,‘ মিল্কী রির্সোট’ ও মেরিন সিটি হাসপাতাল। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল জানান, টেকনাফে যৌথ বাহিনী জনসমাগম রুধে টহল জোরদার করেছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনও জনসচেতনা বৃদ্ধিতে প্রচার পত্র বিলি ও মাইকিং অব্যাহত রেখেছে। তা ছাড়া বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করনে কার্যক্রম জোরদার করেছে। তিনি আরো বলেন, এখনো করোনা আক্রান্ত কোন রোগী টেকনাফ এলাকায় যাওয়া যায় নি। তারপরও আইসোলেশন বেড, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক এ ধরনের তৎপরতায় স্থানীয়রা দারুনভাবে সাড়া দিয়েছে। এভাবে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী যদি সবকিছু প্রতিপালন করা যায় তাহলে স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা ইনশাআল্লাহ মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব হতে মুক্ত থাকবো। এসব কার্যক্রম তদারকরি জন্য টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার সকাল হতে দুপুর পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার সমুহ পর্যবেক্ষণ করেন। এ প্রসংগে ইউএনও মো: সাইফুল ইসলাম বলেন, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় টেকনাফে সরকারী নির্দেশনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। তিনি এ কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মানসিক ভারসাম্যহীনদের খাবার বিতরণ
অপরদিকে গত কয়েকদিন যাবত টেকনাফে সকল দোকানপাট, হোটেল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) শতাধিক মানুষ। এদের অবস্থা চিন্তা করে মানসিক রোগীদের জন্য তহবিল ‘মারোত’ নামের সংগঠনের পক্ষ থেকে দৈনিক এক বেলা করে দুপুরের খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। গত তিন দিন ধরে মারোতের উপদেষ্টা আবু সুফিয়ান মোটর সাইকেল যোগে নিজস্ব উদ্যোগে খাবার রান্না করে টেকনাফ শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন এসব নারী পুরুষকে খাবার দিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে সংগঠনের উদ্যোগে এ কাজ টি চালু রেখেছি। এ ধরনের মহৎ কাজে অন্য যে কেউ এগিয়ে আসলে তাদের স্বাগত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

Comment here