টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় রোহিঙ্গা বোঝায় নৌকা ডুবি, নিখোঁজ-১০

হুমায়ূন রশিদ,টেকনাফ।
টেকনাফের হ্নীলার নাফনদীতে অনুপ্রবেশকালে রোহিঙ্গা পারাপারের নৌকা ডুবিতে শিশুসহ ১০ teknaf-pic-a-21-11-16জন নিখোঁজ রয়েছে।
জানাযায়-২১নভেম্বর ভোররাত সাড়ে ১২টারদিকে হ্নীলার ৯নং ওয়ার্ডস্থ জাদিমোরা সীমান্ত পয়েন্ট এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের রাইম্যাবিল হতে ১৫/১৬জনের রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বোঝাই একটি নৌকাটি আসার সময় মাঝপথে ফুটো হয়ে ডুবে যায়। এতে নৌকায় থাকা নারী-পুরুষরা ডুবন্ত নৌকা ধরে প্রাণে বাঁচার চেষ্টা করলেও হুমায়ুন কবির ও রোকেয়া পরিবারের আনোয়ার ইব্রাহীম (৫),আফসানা বিবি (৩),মো: ইমরান (২),আমির হোছন ও মোরতাজা পরিবারের সাজেদ হোছাইন (১)সহ আরো ২মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। এছাড়া অজ্ঞাত ১মহিলা ও ৩০/৩৫বছরের ১ব্যক্তি নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এসময় ১নারী ও ১কিশোরকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। জাদীমুরা এলাকার (ধাতু জাদী সংলগ্ন পূর্ব পাশের্^) চিহ্নিত মানবপাচারকারী দালাল নুরুল বশর, খাইরুল বশর, ইমাম হোছনসহ প্রভাবশালী কয়েকটি সিন্ডিকেট মিলে মোটা অংকের চুক্তিতে আদমপাচার বাণিজ্যে মেতে উঠে। এদিকে বিকালে টেকনাফ সদরের নাজিরপাড়া নাফনদীর উপকূলে ৩০/৩৫বছরের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া যায়। টেকনাফ মডেল থানার এসআই মাসুদ মুনশী নাফনদী উপকুলে ভাসমান লাশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। এই ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মদ আলী জানান রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনাটি সত্য। দাালেরা কিছু লোককে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার পাঠিয়েছে আবার শিশুসহ কিছু লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
স্বজন হারানো ভুক্তভোগী রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলে জানাযায়,মিয়ানমারের সীামান্ত ও সেনা বাহিনীর হত্যা,নির্যাতন,নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে তারা বাংলাদেশে চলে আসার সময় এই দুঘর্টনার কবলে পড়েন। এদিকে মিয়ানমারের সহিংস ঘটনার পর হতে জাদীমুরার ৩টি আদমঘাট দিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে রাতের আধাঁরে অহরহ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে বলে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। কিন্তু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশরোধে সীমান্ত রক্ষী বিজিবির কঠোর মনোভাবের কারণে রোহিঙ্গারা রাতের আঁধারে চোরাই পথে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে নৌকা ডুবি,ধর্ষণ,লুটপাটসহ নানাবিধ হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা যাচ্ছে। ন্যাক্কারজনক নৌকা ডুবি ঘটনার পর স্থানীয় সচেতন জানায় রোহিঙ্গারা চোরাইপথে অনুপ্রবেশ করলে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নানা অপরাধ সংগঠিত করতে পারে। তাই শতাব্দীর নিকৃষ্টতম মানবতা বিরোধী বর্বতার শিকার রাখাইন রাজ্যের নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দিয়ে নিদিষ্ট স্থানে রেখে আর্ন্তজাতির্কক স¤প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার বলে মহল মনে করেন।

Comment here