জাতীয়টেকনাফ

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম সেন্টমার্টিন বিওপি পরিদর্শন করবেন মঙ্গলবার

টেকনাফ ভিশন ডেস্ক :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মো: সাফিনুল ইসলাম সেন্টমার্টিন সফরে আসছেন। তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সেন্টমার্টিনে পূন:স্থাপিত বর্ডার আউট পোস্ট (বিওপি) পরিদর্শন করবেন। মেজর জেনারেল মোঃ সাফিনুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি গত ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। সেন্টমার্টিনে বিজিবি বিওপি পূন:স্থাপনের পর এটিই হবে বাহিনী প্রধানের প্রথম সফর।
এ সফরে সীমান্ত নিরাপত্তাসহ বিজিবি’র বিভিন্ন কার্যক্রম দেখভাল করবেন বলে জানিয়েছেন টেকনাফস্থ বিজিবি ২ ব্যাটলিয়ন কমান্ডার লে.কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।
উল্লেখ্য চলতি বছল ৭ এপ্রিল থেকে সেন্টমার্টিনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এর আগে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত সেন্টমার্টিনে তৎকালীন বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস) মোতায়েন ছিল।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহসীন রেজা জানান, ‘সেন্টমার্টিনের নিরাপত্তার জন্য বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানকার নিরাপত্তায় বিজিবির যতজন সদস্য দরকার সেই কজন মোতায়েন থাকবে।’
সেন্টমার্টিন থেকে বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা আটক করেছে কোস্টগার্ড, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি। বিভিন্ন সময় ওই এলাকায় দস্যুতার ঘটনাও ঘটে। এসব নিয়ন্ত্রণে সেন্টমার্টিনে একটি পুলিশ ফাঁড়িও রয়েছে সেন্টমার্টিনে। তবে বর্তমান সরকার মনে করছে, সেন্টমার্টিনের নিরাপত্তায় বিজিবি মোতায়েন দরকার।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়,
২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করেছিল মিয়ানমার। মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট সম্প্রতি তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিনকে তাদের ভূখন্ডের অংশ দেখানো হয়। ৬ অক্টোবর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’কে তলব করে এর প্রতিবাদ জানায়। এরপর মিয়ানমার মানচিত্র থেকে সেটি পরিবর্তন করে।
কক্সবাজার সংলগ্ন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সৃষ্টি থেকে বাংলাদেশের ভূখন্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীন ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয় তখন সেন্টমার্টিন ভারতে পড়েছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশের অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে সেন্টমার্টিনকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়।
১৯৯৭ সালের আগ পর্যন্ত সেন্টমার্টিন দ্বীপে বিজিবি (তৎকালীন বিডিআর) ছিল। এরপর থেকে সেন্টমার্টিনে বিজিবির কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এতদিন ধরে কোস্টগার্ড সদস্যরা ওই সীমানা পাহারা দিয়ে আসছিল। কিন্তু চলতি ৭ এপ্রিল হতে সেন্টমার্টিনে বিজিবির একটি বিওপি ক্যাম্প স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। তাই সেখানে টহল দিচ্ছে বিজিবি। এটা নিয়মিত টহলের অংশ। প্রতিদিন দ্বীপের বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই টহল দিচ্ছে বিজিবি।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, দ্বীপে বিজিবি মোতায়েনের ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার হয়েছে। এতে স্থানীয় অধিবাসী ও পর্যটকরা নিরপত্তাহীনতা হতে মুক্ত রয়েছে।

Comment here