রোহিঙ্গা সমাচার

বিশেষ বাহিনীর অত্যাচার ! ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি পরিবার


বিশেষ প্রতিনিধি :

ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি পরিবার। ক্যাম্প চেয়ারম্যানের বিশেষ বাহিনীর অত্যাচারে এমন পরিণতি দাবী ভুক্তভোগীদের।
এরা হচ্ছে লেদা ২৪ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি ব্লকের ৯৫ নং ঘরের মনোয়ারা বেগম, ৮৫ নং ঘরের এনায়েত উল্লাহ, ৪৮ নং ঘরের মো: সেলিম ও ৮১ নং ঘরের শফি আলম। ক্যাম্পে মাদক কারবারে জড়িত রয়েছে এমন অভিযোগে দেড় লাখ টাকা চাদাঁ দাবী করে ক্যাম্পের চেয়ারম্যান মো: আলম ও মেম্বার নুর বশর। দাবীকৃত চাদাঁ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ঘর ছাড়া হতে হয়েছে তাদের এমন দাবী করে ভুক্তভোগী পরিবার গুলো প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ সে্েপ্টম্বর সকালে মনোয়ারা বেগমের ঘরে ঢুকে ক্যাম্প চেয়ারম্যানের বাহিনীর লোকজন ছেলে মো: জুবাইর (১৮) ও কাজল (১৬) কে মারধর শুরু কওে এবং বাড়ি ঘরে তান্ডব চালায়। এ সময় মামা এনায়েত উল্লাহ এগিয়ে আসলে তাকেও মারধর করে উল্টো সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী বলে ক্যাম্প পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় তারা আহত ছিলো। পরে ক্যাম্প পুলিশ ঘটনা বুঝতে পেরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু এরপর হতে এরা ক্যাম্প চেয়ারম্যান-মেম্বারের গ্রুপের লোকজনের কারনে তাদের ঘরে উঠতে পারেনি। তাদের অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান-মেম্বারের বাহিনী তাদের কাছ থেকে চাদাঁ দাবী করে আসছিলো। তা দিতে না পারায় এমন পরিণতি । তারা আরো দাবী করেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্যাম্প প্রশাসন, আইনশৃংখলা বাহিনীর ভয় দেখিয়ে ইয়াবা কারবারী ও মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে অর্থ হাদিতে নেয় তারা। আর সাধারণ লোকজন বা তাদের দাবী পূরণ করতে না পারা রোহিঙ্গাদের ইয়াবাসহ বিভিন্ন ভাবে ফাসিঁয়ে হয়রানি করছে মো: আলম চেয়ারম্যান ও নুর বশর মেম্বার। অনুসন্ধানে জানা যায়, টেকনাফের নয়া পাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আরেফ উল্লাহ লেদা বি ব্লকের নাজির হোসেনের মেয়ে নূও ফাতেমাকে বিয়ে করে। সেই সুত্রে নূর ফাতেমার চাচা জাহেদ ও স্বামী আরেফ উল্লাহ লেদা বি ব্লকের আয়ুব, দিল মোহাম্মদ, আব্বাস, আব্দুল্লাহ, জাফর, রেদোয়ান, ইউসুফ, কহিনুর, পেটাইন্না, রফিক ও বড়া আ্য়ুবের সমন্বয়ে ৮০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে। তাদের একটি অংশ ক্যাম্পে অবস্থান করে। অপর একটি অংশ ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে অবস্থান কওে থাকে। পাহাড়ে অবস্থানকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই নয়া পাড়া নিবন্ধিত ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এ গ্রুপটি লেদা ক্যাম্পে চেয়ারম্যানের ইশারা বাস্তবায়ন করছে এম অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। যাদের অত্যাচারে এখন ঘর ছাড়া তারা। তবে চেয়ারম্যান মো: আলম তাদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনি বলেন, ক্যাম্পে বিচার সালিশ করতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে তারা। তবে বাহিনী তৈরীর বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দিয়ে আমাদের কাজ করতে হয়। এ বাহিনী গুলোকে অন্যভাবে উপস্থাপন করছে হয়তো।

Comment here