এক্সক্লুসিভটেকনাফসারাদেশ

বিষ্ফোরক আইন অমান্য করে টেকনাফে যত্রতত্র স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি

মোঃ আশেক উল্লাহ ফারুকী, টেকনাফ:

টেকনাফে যত্রতত্র স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি মুহাম্মদ জুবাইর, টেকনাফ: টেকনাফ পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন ছোট বড় হাট বাজার সমূহে রাস্তাঘাট, বাজার এলাকা ও সড়কের মোড়ে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোলসহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। কোনো ধরনের নীতিমালা না মেনে এভাবে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রোলসহ নানা দাহ্য পদার্থ। বিভিন্ন দোকানে এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যে কেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রোল কিনতে পারেন। অথচ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করতে হলে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের নিবন্ধন থাকা বাধ্যতামূলক। সূত্র জানায়, সরকারি বিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, পেট্রোল, মুবিল বিক্রির জন্য কমপক্ষে পাকা মেঝেসহ আধা পাকা ঘর, ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ সক্ষমতা-সংক্রান্ত লাইলেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবল বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন। কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবে না। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সীমান্ত উপজেলার টেকনাফ পৌর শহরসহ ৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন বড় বড় মুদির দোকান, পানের দোকান ও কসমেটিকের দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার ও জ্বালানিয় তৈল বিক্রি করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সড়কের মোড়ে মোড়ে প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, টেকনাফ পৌর শহরের একজন, ব্যবসায়ী জানায়, গ্যাস সিলিন্ডার এজেন্টের কাছ থেকে কমিশন ভিত্তিক গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করে আসছি। এর চাহিদা থাকায় গ্রাহকদের সুবিধার্থে মুদির দোকানের পাশাপাশি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে। ডিলারেরা বিভিন্ন দোকানে সরবারহ করে আসছে। গ্যাস সিলিন্ডার ডিলার ছাড়া বিভিন্ন দোকানে বিক্রি নিষেধ। এ আইন সম্পর্কে ক্ষুদে ব্যবায়ীদের কোন ধারনা নেই। যত্রতত্র স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার ও পেট্রোল বিক্রিতে ভয়াবহ াবষ্ফোরনে অগ্নিকান্ডে প্রানহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস পরিদর্শক জানান, আরিফুজ্জামান ভূইয়া বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। টেকনাফ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) সূতেন্দ্র চাকমা জানায়, বিষয়টি জেলা ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স পরিদর্শকের দায়িত্ব আমাদের না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, দাহ্য পদার্থ বিক্রির সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত  বিধিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান। #

Comment here