ক্রাইমটেকনাফ

বয়স্ক ভাতায়ও কমিশন !


কক্সবাজার প্রতিনিধি :
বয়স্ক ভাতা ভোগীদের কাছ থেকে কমিশন পেতে জাল পাতার অভিযোগ উঠেছে সমাজ সেবা বিভাগের দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কমিশন এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। কেউ কেউ সংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলে লিখিত দরখাস্ত দেওয়ার কথাও জানিয়েছে।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, টেকনাফ সমাজ সেবা বিভাগ থেকে রোগী কল্যান সমিতি ও বয়স্ক ভাতার বই সরবরাহ, ছবি বদলানো বা ডিজিটাল করার কথা বলে অর্থ আদায় করছে ফিল্ড সুপারভাইজার গিয়াস উদ্দিন। এখানে সুকৌশলে কমিশন আদায় করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে এজেন্ট। এজেন্টদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার আব্দুল আমিন, সাবরাং ইউনিয়নের আশ্রায়ন গ্রামের মগোর স্ত্রী আমিনা খাতুন, খারিয়া খালী গ্রামের নুরু সওদাগর, টেকনাফের আব্দু রাজ্জাক, আব্দুল আমিন ও টিএন্ডটি লাইনম্যান কবির। শুধু মাত্র বয়স্ক ভাতার বই এর ছবি হালনাদাদের কথা বলে অফিসের সীল প্রদান বাবদ আদায় করা হচ্ছে ৫০০ টাকা। নগদ টাকা দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে বয়স্ক ভাতার টাকা উত্তোলনের সময় লোক নিয়োজিত রেখে টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। নোয়াখালী পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের স্ত্রী রোকসানা বেগম জানান, ৫০০ টাকা দিতে না পারায় তার বই এ হালনাগাদের ছবিতে অফিসের সীল না দিয়ে ফেরত দিয়েছে। ফলে টাকা উত্তোলন করতে পারছে না। এ বিষয়ে টেকনাফ সমাজ সেবা বিভাগের ফিল্ড সুপারভাইজার গিয়াস উদ্দিন বলেন, বয়স্ক লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য এলাকার শিক্ষিত লোকজন কাগজপত্র সঠিক ভাবে লিয়ে দিয়ে কিছু খরচের টাকা নিচ্ছে তা শুনেছি। এখানে সমাজ সেবা অফিসের কোন হাত নেই। তিনি বয়স্কভাতা ভোগীদের কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহন করা হচ্ছে না বলেও দাবী করেন।
এ দিকে হুসনে আরা ধলু নামের এক নারীর মাধ্যমে রোগী কল্যান তহবিলের টাকা ফিফটি ফিফটি ভাগবাটোয়ারা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে সমাজ সেবা বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধ্।ে তবে দায়িত্ব প্রাপ্ত উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Comment here