ক্রাইমমহেশখালী

মহেশখালীতে পুলিশের সাথে ২ টি পৃথক বন্দুক যুদ্ধ : ২ এসআইসহ ১১ পুলিস সদস্য আহত ১৪ টি বন্দুক ও ৬০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার : নিহত-১ : গুলিবিদ্ধ আটক-৩


জাবেদ ইকবাল চৌধুরী, টেকনাফ ভিশন :
কক্সবাজারের মহেশখালীতে পুলিশের সাথে পৃথক দুটি বন্দুক যুদ্ধে আব্দুস সাত্তার (৪২) নামে ১ জন সন্ত্রসী নিহত হয়েছে। নিহত সন্ত্রাসী হোয়ানক নয়া পাড়া কেরুনতলী এলাকার মোঃ নুরুস ছফার ছেলে। গুলিবিদ্ধ আহতঅবস্থায় আটক করা হয়েছে ৩ সন্ত্রাসীকে। এরা হচ্ছে মো ঃ নাছির (২৮), নেজাম উদ্দিন (২৬) ও ওয়াজিউদ্দিন (২৭)।
এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ১৪ টি বন্দুক ও ৬০ রাউন্ড গুলি। এতে সামান্য আহত হয়েছে ২সআইসহ ১১ পুলিশ সদস্য। ১৪ ফেব্রæয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ী রাঙ্গাখালী এলাকায় এবং সাড়ে ৮ টার সময় পূর্ব মাঝের পাড়া বড় ছড়া এলাকায় বন্দুক যুদ্ধের এ ঘটনা দুটি ঘটে।
মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রæপ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশের টিম সোমবার রাতেই বড় ছড়া এলাকায় উৎপেতে থাকে। রাত শেষে মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়েঁ। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়েঁ। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হতে। এতে এসআই হারুনসহ ৭ পুলিশ সদস্যসহ সামান্য আহত হয়। পরে ঘটনা স্থল হতে এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। যার কোমরে ১৫ রাউন্ড গুলি ছিলো। এ ছাড়া ঘটনাস্থল হতে ৬টি দেশীয় তৈরী বন্দুর ও আরো ১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। মৃত উদ্ধার ব্যাক্তি হচ্ছে হোয়ানক কেরুনতলী নয়াপাড়া এলাকার মোঃ নুরুস ছফার ছেলে আব্দুস সাত্তার।
এক্ইি ভাবে উপজেলার মাতারবাড়ী রাঙ্গাখালী এলাকায় সকাল সাড়ে ৬ টার সময় পুলিশের সাথে ডাকাত দলের গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের এসআই শ্ওানসহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ৩ জন সন্ত্রাসীকে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় আটক করা হয়। এসম উদ্ধার করা হয় ৮ টি দেশীয় তৈরী বন্দুক ও ৩৫ রাউন্ড গুলি। আটককৃত সন্ত্রাসীরা হচ্ছে মো ঃ নাছির (২৮), নেজাম উদ্দিন (২৬) ও ওয়াজিউদ্দিন (২৭)।
এ দুটি বন্দুব যুদ্ধে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাস। তিনি এ ব্যাপারে পৃথক পৃথক মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান।

Comment here