জাতীয়

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের চিহ্ন

মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের চিহ্ন

শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টগ্রামের মেয়র ও সাবেক মহিউদ্দিন চৌধুরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন।রাজনৈতিক জীবনের শুরতেই সান্নিধ্যে আসেন চট্টগ্রামের জননেতা জহুর আহমদ চৌধুরির। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন অসংখ্যবার।

মুক্তিযুধ্যে অংশ নিতে গিয়ে আইএসআইয়ের চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমি সদরদপ্তরের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হন দীর্ঘ চার মাস। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্যাতনের চিহ্ন মহিউদ্দীন মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তার শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

আরো পড়ুন- এক নজরে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বর্ণাঢ্য জীবন

তার গ্রেপ্তারের খবরে ততদিনে ভারতের একটি মুক্তিযোদ্ধা শিবিরে শহিদ মহিউদ্দীন ক্যাম্প খোলা হয়েছিলো। বেঁচে থাকার কথা ছিলনা তার। শহীদ ভেবে বাবা ছেলের নামে দিয়েছিলেন ফাতেহা। এরই মাঝে একদিন মানসিক রোগীর নাটক করে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে পালিয়ে যান মহিউদ্দিন।

পাড়ি জমান ভারতে। ভারতে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষে সক্রিয়ভাবে সম্মুখসমরে অংশ নেন। ছিলেন ভারত-বাংলা যৌথবাহিনীর মাউন্টেন ডিভিশনের অধীনে। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জহুর আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ঝাঁপিয়ে পরেন নতুন সংগ্রামে।

বঙ্গবন্ধুর খুবই কাছের আর আদরের ছাত্রনেতা ছিলেন মহিউদ্দীন। কিন্তু তৎকালিন সময়ে প্রবল ক্ষমতাশালী হয়েও ক্ষমতার মোহ একচুলও স্পর্শ করেনি তাকে।

Comment here