উখিয়াকক্সবাজারক্রাইমজাতীয়টেকনাফসারাদেশ

রামুর অপহৃত চার ছাত্র উদ্ধার

রামুর অপহৃত চার ছাত্র উদ্ধার
বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের রামুর খুনিয়াপালংয়ে অপহৃত স্কুলছাত্রদের উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজন রোহিঙ্গাসহ অপহরণের মূল হোতাদের আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান ( এপিবিএন ) ও র‍্যাব সদস্যরা। তন্মধ্যে একজন নারীও রয়েছে।

আজ শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সর্বশেষ মিজানুর রহমান নামের ছাত্রকে উদ্ধার করেছে র্যাব।

এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবির এর পার্শ্ববর্তী পাহাড় থেকে ৩ ছাত্রকে উদ্ধার করা হয়েছে।

যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হতে এ ব্যাপারে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভিন্ন ভাবে অপহৃত স্কুল ছাত্রদের উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে বলে জানা গেছে।

উদ্ধার ছাত্ররা হলো: রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পেচারদ্বীপের মংলাপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান নয়ন, জাহিদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান। তাদের মধ্যে জাহিদুল সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। বাকিরা অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।

আটক রোহিঙ্গারা হচ্ছে, টেকনাফের নয়াপড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ৮ ব্লকের নজির আহাম্মদের ছেলে নুর সালাম(৫০) ও তার মেয়ে রনজিনা বিবি(১৬) ও মোচনিপাড়া গ্রামের আবুল কাদেরের ছেলে সাদ্দাম মিয়া।

নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের কমান্ডার শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বিন কালাম (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান।

জানা যায়, রামুর পেচারদ্বীপের বাতিঘর নামে একটি কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় ওই চার স্কুলছাত্রের। সে সুবাদে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম চার স্কুলছাত্রকে সেন্টমার্টিন বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে টেকনাফের হোয়াইক্যং এলাকায় নিয়ে যান। ইব্রাহিম ও জাহাঙ্গীর দুজনই রোহিঙ্গা।

সেখানে বেড়াতে যাওয়ার পর থেকে ওই চারজনের খোঁজ মিলছিল না। পরদিন দুপুরে স্বজনদের কাছে বিভিন্ন অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবি করা হচ্ছিল। মুক্তিপণ না দিলে তাদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৬ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ কাছিমের ছেলে। তার সহযোগী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়িও সেখানে। তারা দুজনই বাতিঘর কটেজের বয় হিসেবে কর্মরত।

Comment here