আন্তর্জাতিকরোহিঙ্গা সমাচার

রোহিঙ্গা ইস্যু : আজ মংডুতে আসছেন কফি আনান

জাবেদ ইকবাল চৌধুরী , টেকনাফ ভিশন :images
আজ ২ ডিসেম্বর শুক্রবার রাখাইন রাজ্যের মংডু তে আসছেন জাতিসংঘের সাবেক মহা সচিব কফি আনান। তিনি অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারের রোহিঙ্গা বিষয়ক কমিশনের প্রধান। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের উত্তর মংডুতে চলমান সহিংসতার বিষয়টি প্রত্যক্ষ করবেন এবং করনীয় ঠিক করবেন বলে জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মংডুতে কর্মরত আর্ন্তজাতিক সংস্থার এক সদস্য। তিনি আরো জানান, মিয়ানমার সরকার পাশ্ববর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রির্পোট নিয়েও সমালোচনা করছেন। মিয়ানমার মনে করছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম গুলো উস্কানি দিয়ে রির্পোট করছে। অহেতুক র্খাাইনের জড়িয়ে রির্পোট করছে। মংডু ডিস্ট্রিক্টের প্রশাসক (ডিসি) উ য়েট টেট এমন ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন তাদের একটি সমন্বয় সভায় এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক এনজিও কর্মকর্তা।
নাফনদে বিজিবি’র গুলিrek-pic-eman-h
ফুটু নৌকার ১ জন বাংলাদেশে !
ইমান হোসেন (৫৫), মিয়ানমারের মংডু ওয়াবেক এলাকার মৃত কালু মিয়ার ছেলে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টার সময় পৌঁেছ বাংলাদেশের টেকনাফ সীমান্তের কেরুনতলী এলাকায়। স্থানীয় আব্দুস সালামের একটি ফিশিং ট্রলার নাফনদে চিৎকার শুনে তাকে উদ্ধার করে। সে বর্তমানে কেরুনতলীর একজনের বাড়ীতে আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় রোহিঙ্গা মুসলিম ইমান হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের প্রাংপ্রু খাল দিয়ে ১০/১২ জন রোহিঙ্গা বোঝাই ৬ নৌকা বুধবার রাত ৮ টার দিকে বাংলাদেশের উদ্দ্যেশে পাড়ি জমায়।
এর কিছুক্ষণ পর বড় একটি ট্রলারে প্রায় ৪০ জন নারী শিশু ও পুরুষ নিয়ে তিনিসহ বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা দেন। সাথে ছিলো দু’ ছেলে সলিম উল্লাহ (১৮) ও সালামত খান (১৪)। আধা কিলোমিটার পর্যন্ত ট্রলার চলার পর শুরু হয় গুলির শব্দ। নৌকায় ধাক্কা দেয় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর স্পিড বোট। বোটের ধাক্কায় রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটির আংশিক ডুবে যায়। এ সময় কেউ কেউ নাফ নদে ঝাপ দেয়। আবার অনেক নারী ও শিশু নৌকা রয়ে যায়। মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষি বাহিনী নৌকাটি স্পিড বোটের সাথে বেধে টেনে নিয়ে যেতে দেখা গেছে। আর অন্ধকারে নাফ নদে ঝাপ দেওয়া লোকজনের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা তিনি জানেন না। জানেন না দু’ ছেলেরও কি ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, নাফনদে চিৎকার আর আল্লাহ ডাকতে ডাকতে কয়েকটি বোট দেখতে পান । এরপর একটি নৌকার মাঝি রশিদ আহমদ তাকে উদ্ধার করে । টেকনাফের কেরুন তলী এলাকার একটি বাড়ীতে আশ্রয় দেয়।
বাংলাদেশে ঢুকতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা মংডু সীমান্তের উপকূলে
মিয়ানমারের মংডু সীমান্তে বুধবার রাতেই প্রায় ২ হাজার রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুকে দেখতে পেয়েছেন। তার সামনে ৬ টি নৌকা বোঝাই ৫০/৬০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে পারলেও অন্যান্যদের মধ্যে কেউ কেউ মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষি বাহিনী ধরে নিয়ে গেছেন অথবা মংডু সীমান্তের প্রাংপ্রু এলাকার উপকূলীয় বাগান, চিংড়ি ঘেড়ের আলের কাছে লুকিয়ে দিন পার করছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী ইমান হোসেন। তিনি বলেন, মিয়ানমার মিলিটারীর গুলির শব্দে আতংকিত হয়ে পড়ে ওই সব লোকজন। রাতের আধারে মিয়ানমারের সরকারী বাহিনীর টর্সের আলোতে তেমনটি দেখা যাচ্ছিলো শীতকালীন কুয়াশার কারনে।
বাংলাদেশী ৩ দালাল মিয়ানমারে আটক !tek-pic-anwar-sadeq
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করাতে গিয়ে মিয়ানমারে গিয়ে ধরা পড়েছেন টেকনাফের বড়ইতলী গ্রামের মৃত জহির আহমদের ছেলে আনোয়ার সাদেক (২০), বড়ইতলীর লামার পাড়ার আমানুল্লাহ’র ছেলে সলিম উল্লাহ (১৮) ও নাইট্যং পাড়ার মৃত মোহাম্মদ শফির ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ (২২)। বুধবার রাতে এ তিন জনসহ আরো কয়েকজন ৩টি নৌকা নিয়ে রোহিঙ্গা নিয়ে আসার জন্য মিয়ানমার সীমান্তে রওয়ানা দেয়। রাত সাড়ে ৮ টার সময় ্ওই নৌকা লক্ষ্যকরে গুলি ছুড়ে মিয়ানমার বিজিপি। মৃত ছিদ্দিক আহমদের ছেলে হাফেজ আহমদ ও মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে বড়ই তলী গ্রামের মোহাম্মদ মুসা ওপারের রোহিঙ্গা বোঝাই ২ টি নৌকা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারলেও ধরা পরে একটি নৌকা। আর ওই নৌকায় ছিলো আনোয়ার সাদেক, আহমদ উল্লাহ ও সলিম। এদিকে বুধবার রাতে নাফনদের গুলির শব্দে কান্নার রোল পড়ে বড়ই তলীতে। মুর্হুতে খবর ছড়িয়ে পড়ে নৌকাতে গুলি করা হয়েছে। কারভাগ্যে কি ঘটেছে কেউ জানে না। কিন্ত বৃহস্পতিবার সকালে স্বজনরা খবর পায় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষি বাহিনী তাদের আটক করে মংডু নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আনোয়ার সাদেরে মা জুহুরা বলেন, তার একমাত্র ছেলে কোন দিন ওপারে আদম আনতে যায় নি। গত বুধবার রাতে কয়েকজন বন্ধু ফাদেঁ ফেলে তাকে নিয়ে গেছে। এখন তার ভাগ্যে কি ঘটেছে তা তিনি জানেন না। সলিম উল্লাহ পিতা আমান উল্লাহ জানান, নাফনদে জাল ফেলে ঘুমিয়ে পড়ে সলিম। কিন্তু মিয়ানমার বাহিনী বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকা রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ধরতে গিয়ে তাকেসহ অপর তিন জনকে ধরে ফেলে। ওপারের আত্বীয়ের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ মুহুর্তে তাদেরও কিছু করার নেই বলে জানান স্বজনরা। খোজঁ নিয়ে জানা যায়ম বড়ই তলী সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটে। জন প্রতি ১০/১২ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি দালাল সিন্ডিকেট রোহিঙ্গা পারাপারের কাজটি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা হচ্ছেন, বড়ই তলীর বর্মী নুর হোসেনের ছেলে আকতার হোসেন, আব্দুল কাদিরের ছেলে বড়ই তলী গ্রামের সর্দার তালি ইসলাম ও ছেলে শামসুল আলম, মালয়েশিয়া ইসমাইল, মৃত আব্দুস সালাম ছেলে ছৈয়দ নুর, আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুল গনি, মৃত দিল মোহাম্মদের ছৈয়দ আলম , বড়ই তলীতে বসবাসকারী নাইটং পাড়ার বাচাঁ মিয়া। প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন জানান, রাতের আধারে এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা অবৈধভাবে মিয়ানমারে গিয়ে রোহিঙ্গা পারাপার করার কারনে বুধবার রাতে নাফনদের ওপারে গুলির শব্দে প্রকম্পিত হওয়ার পাশাপাশি নারী শিশুর আর্ত্বচিৎকার শুনা যায়। তাদের কারনে আতংকে থাকতে হয় এলাকার সাধারণ লোকজনকে। স্থানীয় যুবক আকতার হোসেন বলেন, বড়ইতলী পানি উন্নয়ন বোর্ডের রেস্ট হাউজ এলাকায় একটি স্থায়ী বিজিবি পোষ্ট সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে।
এদিকে নাফনদে গুলির শব্দ এবং লোকজনের চিৎকার বিষয়ে কথা হয় কোস্ট গার্ড টেকনাফ ষ্টেশন কমান্ডার লে. আতাউর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, বুধবার রাত ৯ টার সময় লোতজন মারফত নাফনদে চিৎকারের শব্দ শুনার বিষয়টি খবর পেয়ে দ্রুত টহলরত টিমকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। কিন্ত এর আগেই রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারের শব্দ থেমে যায়। হয়তো ওরা অন্য স্থানে সরে গেছে অথবা মিয়ারমারের বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, গুলির শব্দ তিনি শুনেননি। তবে জেলেরা শুনেছে বলে তাদের জানিয়েছেন।
মংডুতে ইউএনএইচসিআরের সাথে বৈঠক বাতিল
ইউএনএইচসিআর’কক্সবাজার অফিস প্রধান জন ম্যাককেসিন’র রোহিঙ্গা বিষয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে মিয়ানমার সরকার নাখোশ বলে জানা গেছে। এর জের ধরে ইউএনএইচসিআর’র মংডু অফিস প্রধান মিস উরারা সাথে গত রবিবারের র্নিধারিত বৈঠক বাতিল করেন মংডুর ডিসি।
প্রসংগত জাতিসংঘের শরর্ণার্থী সংস্থার কক্সবাজার অফিস প্রধান জন ম্যাককেসিন গণমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, মিয়ানমার সরকার সে দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। মিয়ানমার সেনা বাহিনী রোহিঙ্গা ফুরুষদের হত্যা করছে, শিশুদের জবাই করছে, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ এবং লুঠতরাজ চালাচ্ছে। এতো দিন মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের ব্যাপারে এতদিন ধরে যে অভিযোগ করে আসছিল, এবার জাতিসংঘও সেই অভিযোগ করছে।
১৫ ঘন্টা পর
৪০ হাজার টাকা মুক্তিপন দিয়ে টেকনাফ ফিরেছে দু’ জেলেteknaf-pic-matiuar-dil-m
মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর হাতে ১৫ ঘন্টা আটক ছিলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড়ইতলী গ্রামে বসবাসকারী দিল মোহাম্মদ (২২) ও মতিউর রহমান (২৫)। মঙ্গলবার রাত এশা’র নামাজের পর একটি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে ওরা দু’ জন জাল পাতে নাফনদে। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষি বাহিনীর একটি স্পিড বোট তাদের কাছে এসে ধরে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসা করে কোন দেশের। বাংলাদেশের বলার সাথে সাথে “ওয়ে কলা” শব্দ উচ্চারণ করে মারধর করতে থাকে। একজনকে হাত পা বেধে সাগরে ফেলে দেয়, আবার তুলে নেন। স্বজনদের ফোন দিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী কারা এরা। চলে দরকষাকষি। সকালে শেষমেশ ৪০ হাজার টাকায় দফারফা হয়। স্বজনরা দ্বারকর্জ করে টাকা যোগার করে। বড়ইতলী এলাকার ছৈয়দ নুর ও অপর একজন টাকা নিয়ে গিয়ে দু’জেলেকে বুধবার সাড়ে ১১ টার দিকে গ্রামে ফিরে আনে। দুপুকে বড়ইতলী গ্রামে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়, মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসা জেলে দিল মোহাম্মদ ও মতিউর রহমানের সাথে। তারা বলেন, প্রতিদিনের মত জাল ফেলতে গিয়ে তাদের উপর এ নির্যাতন। একদিকে মারধর অন্যদিকে মুক্তিপণ। গরিব জেলে কিভাবে এত টাকা শোধ করবো এ চিন্তায় আছি। আমাদের বাংলাদেশের সীমানায় নাফনদে মাছধরাও যেন এখন নিষিদ্ধ।
ফিরে আসা দিল মোহাম্মদ বলেন, তাদের ছবি উঠিয়ে নিয়েছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কর্মকর্তারা। তারা নিষেধ করেছে আর যেন তাদের সীমানায় মাছ ধরতে না যায়। তিনি আরো বলেন, নাফনদে মাছ ধরতে না পারলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে কিখাবো,কিভাবে চলবো। ৪০ হাজার টাকা মু্িক্তপণ নিয়ে মিয়ানমারের সীমান্ত নক্ষি বাহিনীর কাছ থেকে জেলেদের নিয়ে একজন ছৈয়দ নূর। তিনি এ বিষয়ে কোন ধরনের কথা বলতে রাজি হননি।
নাফনদ হতে দু’জেলেকে ধরা নেওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ড টেকনাফ ষ্টেশন ইনচার্জ লে. আতাউর রহমান। তবে এরা ফিরে এসছে কিনা তা নিশ্চিত নন বলেও জানান।

নভেম্বর ঠেকিয়েছে ২০০০ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ
টেকনাফে ৬ টি নৌকা বোঝাই ৬০ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বিজিবি

বাংলাদেশে অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশের সময় ৬ টি নৌকা বোঝাই ৬০ জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে দিয়েছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার রাত হতে শুক্রবার সকাল ৭ টা পর্যন্ত নাফনদের চার টি পয়েন্টে হতে এদের ফেরত পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফস্থ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ। তিনি আরো জানান ১ ডিসেম্বর ভোরেও বিভিন্ন পয়েন্টে হতে ১১ টি নৌকায় শতাধিক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় বিজিবি।
এদিকে , নভেম্বর মাসে নাফনদ থেকে রোহিঙ্গাদের ২’শ টি নৌকা ফিরিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর সময়ের মধ্যে নাফনদের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে আসা এসব নৌকা ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এসব নৌকায় ২০০০ জন রোহিঙ্গা ছিলো বলে জানায় বিজিবি।
এ ছাড়া নভেম্বরে ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৩৯ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৫৫ কোটি ১৪ লাখ ৭১ হাজা ৭’শ টাকা। এ সংক্রান্ত ৪২ টি মামলায় ২৮ জনপাচারকারীকে আটক করা হয় বলেও জানান বিজিবি।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দিকী সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

 

Comment here