টেকনাফমুক্ত কলাম

রোহিঙ্গা মদদ দাতা ১৬৮জনের তালিকা:-টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন অংশের তালিকা পুনঃতদন্তের দাবী

বার্তা পরিবেশক:সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয়,স্থানীয় এবং অনলাইন সংবাদ পত্রের মাধ্যমে প্রকাশ হয় অর্থের বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের দেশে অনুপ্রবেশ ঘটাচ্ছে কয়েকটি দালাল চক্র শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত রোহিঙ্গাদের সহায়তাকারী ১৬৮দালালের মধ্যে টেকনাফের ১১৪জন সংবাদাংশের টেকনাফস্থ হ্নীলা ইউনিয়ন অংশের উক্ত তালিকায় আমাদের নাম দেখে বিস্মিত হয়েছি। বিষয়টি পুনরায় তদন্ত স্বাপেক্ষ প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি আমি ভূক্তভোগী হোছাইন আহমদ আনিম এবং মোঃ আলম শাহীন। আমরা প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘ ১০/১৫বছর ধরে হ্নীলায় লবণ চাষ ও ব্যবসা এবং হ্নীলা বাসষ্টেশনে নুরুল আমিন মার্কেটে ৬/৭বছর ধরে কম্পিউটার দোকান ব্যবসা করে আসছি। হয়তো এলাকার কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নিকট উক্ত অপরাধী হিসেবে আমাদের নামটি সরবরাহ করায় প্রকৃত সীমান্ত অপরাধীদের পাশাপাশি আমাদের মত নিরীহ লোকজন হয়রানির আশংকা দেখা দিয়েছে। আমরা উক্ত অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে নিরীহ লোকজনের হয়রানিরোধে বিষয়টি পুনঃতদন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত ৩জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের সহায়তাকারী দালালদের পরিচয় তুলে ধরে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। দালালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা রয়েছে এই কথা সত্যিই। আমরা সমন্বিতভাবে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত টিম গঠন করে সীমান্তে বিদ্যমান প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আন্তরিক সহায়তা কামনা করছি।
নিবেদক :
ভূক্তভোগী হোসাইন আহমদ আনিম এবং মোহাম্মদ আলম শাহীন
হ্নীলা-টেকনাফ।

Comment here