কক্সবাজারটেকনাফ

শাহপরীরদ্বীপের ব্যবসায়ী ছলিম উল্লাহ’র প্রতিবাদ

গত ১৮ অক্টোবর “ঘাট শ্রমিক থেকে কোটিপতি টেকনাফের ছলিম উল্লাহ” এবং ২০ অক্টোবর “মাঝিরঘাটে ইয়াবার টাকায় ছলিম উল্লাহ’র অনুমোদনহীন আলিশান ভবন” শীর্ষক দৈনিক সকালের কক্সবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দুটি আমাদের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। ও প্রতিপক্ষ দ্বারা প্ররোচিত ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত উক্ত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলতে চাই যে, আমার মরহুম পিতা মৌলানা আব্দুল খালেক বৃটিশ শাসন আমল থেকে শাহপরীরদ্বীপরে বসবাস করে মৃত্যুবরণ করেছে। তিনি মিস্ত্রী পাড়া এলাকায় ১৯৮০ সালে এলাকায় একটি ও ১৯৬০ সালে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ায় মসজিদ প্রকিষ্ঠা করে দ্বীনি ক্ষেতমদ করে গেছেন। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা জন্ম সুত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে শাহপরীরদ্বীপে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছি এবং বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হিসেবে ১৮ বছর বয়স হতে নিয়মিত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করে নাগরিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। পড়া লেখা না করায় ছোট বয়স থেকে ব্যবসা বানিজ্য করেই এ পর্যন্ত পৌছেছিঁ। মানব পাচার বা মরন নেশা ইয়াবা বের হওয়ার অনেক আগেই আমার পরিবার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবার। এখানে যা সরেজমিন তদন্ত করলে সঠিকতা পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আমার ভাই ছৈয়দ উল্লাহ দির্ঘ্য ২৫ বছর সৌদি প্রবাস জীবন কাঠিয়েছেন, আমার দু ছেলে সৌদি আরবে টাকা উপার্জন করতে বহু বছর থেকেছেন। তা ছাড়া, শাহপরীরদ্বীপে ফিশিং ট্রলার দিয়ে সাগরে মাছ আহরণ, লবণের ব্যবসা, শাহপরিরদ্বীপরে করিডোরে গবাধিপশুর ব্যবসা ছাড়াও সীমান্ত বানিজ্য ব্যবসা পরিচালনা করেছি আমি এবং আমার সন্তানেরা। আমরা যৌথ পরিবার হিসেবে ১৯৮০ সাল থেকে কিস্তিতে ৬ টি ট্রাক কিনে পরিবহন ব্যবসাও পরিচালনা করেছি। যা থেকে এখনো ২ টি ট্রাব বিদ্যমান রয়েছে। ব্যবসায়ী পরিবার হিসেবে এলাকায় আমাদের পরিচয় রয়েছে। আমার মা সাবরাং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম নজির আহমদের নিকট আত্বীয় হিসেবে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে আমাদের বিরুধ বেশ পুরানো। সেই পুরানো বিরোধকে কাজে লাগিয়ে আমার নিকট আত্বীয় ইসমাইল গং রা বেয়াই সুত্রে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজল হককে ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সম্প্রতি আমার বিদেশ ফেরত ছেলে জসিমকে হামলা চালিয়ে আহত করে ইসমাইল। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমার পরিবারের উপর। এর রেশ ধরে আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্দে মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমাদের পরিবারের ভাবমুর্তি নষ্ট করার অপচেষ্টায় চালিয়ে গেলেও আমরা বিচলিত নই। আমার পরিবারের সদস্যরা বৈধ ব্যবসা করে অর্জিত টাকা দিয়ে কক্সবাজার শহরে ৩ গন্ডা জমিতে একটি বিল্ডিং নির্মাণ করা কি অপরাধ। আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে বিল্ডিং নিমার্ণের অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখানে আমারতো অবহেলা নেই। এর বাইরে টেকনাফে টিন শেড বাসা বা শাহপরীরদ্বীপে ঘর আছে। কিন্তু চট্টগ্রামের খুলশিতে বিলাস বহুল একটি ফ্লাট আসলে আমার দরকার নেই তাই ক্রয় করিনি। যদি কেউ একটা দিলে অখুশি হবনা। আমার ব্যবসা বানিজ্য. অর্জিত সম্পদ কিস আছে নাই তা যথাযত কতৃপক্ষ ভালই জানে। সুতরাং এ ব্যপারে কাউকে ্িবভ্রান্ত করে কারো লাভ হবে না বরং অপরের জন্য গর্ত খুড়তে গিয়ে নিজেকেই ওই গর্তে পড়তে হতে পারে এটি মনে রেখে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরবরাহ না করে সংবাদকে হাস্যরসে পরিনত না করার জন্য অনুরুধ জানাচ্ছি এবং মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য সাংবাদিক মহলের প্রতি বিনীত আরজ করছি।

—–ছলিম উল্লাহ, মিস্ত্রী পাড়া, শাহপরীরদ্বীপ, টেকনাফ ।

Comment here