কক্সবাজারক্রাইম

সাগরে অপহৃত ৩২ জেলে তিনদিন পর মুক্ত: তিন জলদস্যু আটক


কক্সবাজার প্রতিনিধি :

সাগরে অপহৃত ৩২ জেলে ফিশিং ট্রলারসহ মুক্তি পেয়েছে। গত তিন দিন ধরে তারা সাগরে জলদস্যুর কবলে আটকা ছিল। তারা রবিবারে ভোরে উপকূলে ফিরে এসেছে। এদিকে অপহরনের এ ঘটনায় জড়িত ৩ জলদস্যুকে আটক করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলো , কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং নাথপাড়ার বাদশা মিয়ার পুত্র আনিসুল ইসলাম ছোটন (৩৪), দক্ষিণ ধুরুং অলি পাড়ার আহমদ ছৈয়দের পুত্র আজিজুর রহমান (৩৭) ও মুসা সিকদার পাড়ার মঞ্জুর আলমের পুত্র রায়হান (৩১)।

রবিবার (৮ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে কুতুবজোম তাজিয়াকাটা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। মহেশখালী -সদরের সার্কেল এএসপি জাহেদুল ইসলাম আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেন। আটককৃতদের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তাদের গ্রুপে আর কারা রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই তিন ব্যক্তি বঙ্গোপসাগরের ট্রলারে ডাকাতি করে তাজিয়াকাটা ঘাট হয়ে উপকূলে ফিরছিল।

স্থানীয় বাসিন্দা শফিক মিয়া জানান, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে তিন ব্যক্তি সোনাদিয়া থেকে বোটযোগে তাজিয়াকাটা ঘাটে নামে। তাদের দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। বর্তমানে এসব জেলেরা উপকূলে ফিরে এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বাঁশখালী ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি ইয়ার আলী নিশ্চিত করেন। অপহৃত ৩২ জেলে ৪টি ট্রলার নিয়ে সকালে বাঁশখালী উপকূলে ফিরে আসে। একই ভাবে কুতুবদিয়া উপকূলের অপহৃত জেলে ও ট্রলার উপকুলে ফিরে আসে বলে কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ জয়নাল আবেদীন নিশ্চিত করেন।

তবে ট্রলার মালিকরা দাবী করে, জলদস্যুদের বন্দিশালা থেকে জেলে এবং ট্রলার গুলো ছেড়ে আনতে লাখ টাকার বিনিময় করা হয়। জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের তিনদিন ধরে কোন খাবার দেয়নি। তাদের টার্গেট মোতাবেক টাকা দিতে না পারলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মারধর করে। জলদস্যুরা কুতুবদিয়া, মহেশখালী, বাঁশখালীর বলে দাবী করেন এফবি মায়ের দোয়া – ২৪৬ ফিশিং ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর আলম।

কুতুবদিয়া ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন জানান, জলদস্যুদের তান্ডবে সাগরে জেলেরা মাছ ধরতে পারছে না। অনেক টাকার পুঁজি নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যায় জেলেরা। জেলেরা দাদন মহাজনের থেকে টাকা নিয়ে মৎস্য ব্যবসা শুরু করে। যথা সময়ে মহাজনের পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে জেলেরা এ পেশা ছেড়ে আত্নগোপনে চলে যেতে হবে। আইনশৃংখলা বাহিনী সাগরে জলদস্যুতা কঠোর হস্তে দমনের দাবী করেন।

Comment here