কক্সবাজারজাতীয়টেকনাফপর্যটনসারাদেশ

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া সহস্রাধিক পর্যটক নিরাপদে ফিরেছে

মুহাম্মদ জুবাইর:
বৈরী আবহাওয়ার কারণে টেকনাফের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদের টেকনাফে ফিরিয়ে এনেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘুর্নিঝড় বুলবুলের কারনে সাগর উত্তাল থাকায় সবধরনের নৌ-যান ও পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল। ফলে ভ্রমনে আসা ১২শতাধিক পর্যটক সেখানে আকে পড়ে। আটকা পড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিন দ্বীপ হতে সোমবার বিকালে নিরাপদে টেকনাফ ফিরেছে। সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ৭ নভেম্বর হতে ৩নং সতর্ক সংকেত থাকায় সহ¯্রাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিনেই আটকা পড়েন। ১১ নভেম্বর (সোমবার) দুপুরে এসব আটকে পড়া পর্যটকরা তিনটি জাহাজে করে টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে ।
এছাড়া সোমবার সকালেই স্থানীয়দের তিনটি ট্রলার ও কয়েকটি স্পীটবোর্ড করে প্রায় দু’শতাধিক পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দা’ টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেপি ঘাট ও টেকনাফে ফিরেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। দ্বীপে গত ৩ দিন ধরে আটকা পর্যটকদের জন্য প্রশাসনের নির্দেশে থাকা-খাওয়ার বিশেষ ছাড় দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল বলেও জানান চেয়ারম্যান নূর আহমদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের সমন্বয় কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।“দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের আনতে সকালে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে তিনটি জাহাজ পাঠানো হলে তারা নিরাপদে ফিরে আসে।
টেকনাফ উপজেলা নবাগত নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘূর্নিঝড় বুলবুলের কারনে সাগর উত্তাল থাকায় গত ৩দিন টেকনাফ থেকে কোনো জাহাজ সেন্টমার্টিনে যাইনি। ফলে দেশি-বিদেশি ১২শতাধিক পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েন। সাগরের পরিস্থিতি ভালো হলে সোমবার সকালে পর্যটকবাহী জাহাজগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ৩টি জাহাজ সকালে টেকনাফ থেকে ছেড়ে গিয়ে বিকালে সেন্টমার্টিন থেকে পর্যটকদের নিয়ে ফিরে আসতে শুরু করে। তারা বিকাল ৫টার দিকে টেকনাফ দমদমিয়া জাহাঁজ ঘাটে নিরাপদে পৌঁছেন।’ ফিরে আসা পর্যটকদের ফুল ও চকলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানান নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
তবে কিছু লোকজন স্পিডবোট ও ট্রলারে করে টেকনাফে এসেছেন বলে খবর পেয়েছি। জাহাজ পাঠানোর পরও কেন ট্রলারে করে লোকজন আসছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।###

Comment here