টেকনাফপর্যটন

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া ৮ শতাধিক পর্যটক নিরাপদে ফিরেছে

আব্দুস সালাম,টেকনাফ  :
কক্সবাজারের টেকনাফ সেন্টমার্টিনদ্বীপে আটকা পড়া ৮ শতাধিক পর্যটক নিরাপদে টেকনাফে ফিরেছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রবিবার ( ১২ মার্চ ) সন্ধ্যায় পর্যটকবাহী জাহাজ এমবি বাঙ্গালীতে করে এসব পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হয়। দুই’দিন পর নিরাপদে দ্বীপ ছাড়তে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পর্যটকরা।
টেকনাফ পৌঁছে গাজীপুর থেকে আসা পর্যটক দম্পতি নুসরাত রেশমি ও ওয়াহিদ স্বস্তি প্রকাশ করে জানান, “ আবহাওয়া খারাপ হওয়াতে কবে ফিরতে পারব এমন দুশ্চিন্তায় ছিলাম, আগের দিন অনেকে ঝুঁকি নিয়ে চলে আসলেও সাগর পথে ঝুঁকি নিয়ে আসতে মোটেও প্রস্তুত ছিলামনা কারণ সেখানে আমরা নিরাপদে ছিলাম, তবে যাহোক প্রশাসনকে ধন্যবাদ আটকা পড়া শত শত পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার জন্য। ”
বৈরী আবহাওয়ায় কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় গত শুক্র ও শনিবার দুইদিন পর্যটকবাহী কোন জাহাজ সেন্টমার্টিন যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় দ্বীপে অবস্থান করা দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়ে। শুক্রবার বিকালে এবং পরদিন কিছু কিছু পর্যটক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফিশিং ট্রলার ও স্পীড বোট নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ হয়ে টেকনাফ ফিরলেও অধিকাংশ পর্যটক সেন্টমার্টিনে রয়ে যায়।
জানা যায়, আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকায় তৃতীয় দিনেও রবিবার ( ১২ মার্চ ) টেকনাফ দমদমিয়া জাহাজ ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে কোন জাহাজ চলাচলের অনুমতি পায়নি। তবে রবিবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যটকবাহী জাহাজ ‘এমবি বাঙ্গালী’ কে প্রবালদ্বীপে আটকা পড়া অবশিষ্ট পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে পাঠানো হয়। মেঘলা আকাশ ও হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে অনেক শঙ্কা নিয়ে জাহাজটি বিকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পৌঁছে এবং দ্বীপে আটকা পড়া আট শতাধিক পর্যটক নিয়ে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নিরাপদে টেকনাফ পৌঁছে।
পর্যটকবাহী জাহাজ এমবি বাঙ্গালী’র ব্যবস্থাপক তোফায়েল আহমদ জানান, প্রশাসনের নির্দেশমতে আমরা জাহাজ নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পৌঁছি এবং সেখানে অবস্থানরত আট শতাধিক পর্যটক নিয়ে নিরাপদে টেকনাফ ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছি।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ জানান, ‘দুইদিন আটকা থাকার পর প্রশাসনের সহযোগিতায় পর্যটকবাহী জাহাজ এমবি বাঙ্গালীতে করে প্রায় সব পর্যটক দ্বীপ ছেড়েছে। দ্বীপে এখন পর্যটক শুণ্য বললেই চলে।’ তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো হলে সেন্টমার্টিনদ্বীপে পুনরায় হাজারো পর্যটকের পদভারে মুখরিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
টেকনাপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিউল আলম জানান,“ বৈরী আবহাওয়ার কারণে ঝুঁকি নিয়ে জাহাজ গুলোকে সেন্টমার্টিন যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এছাড়া সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকদেরও খোঁজ খবর রাখা হয়েছিল। আবহাওয়ার পূর্বাবাশ কিছুটা ভালো হওয়াতেই একটি জাহাজ পাঠিয়ে দ্বীপে অবস্থান করা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়।

Comment here