টেকনাফদৃষ্টিপাত

সেন্টমার্টিন্স জেটির শনির দশা !


টেকনাফ  প্রতিনিধি :
সেন্টমার্টিন্সের একমাত্র জেটিতে শনির দশা বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন এ জেটির সংস্কার ও উন্নয়নে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। অযতœ, অবহেলার শিকার সেন্টমার্টিনের এ জেটি। অথচ প্রতিদিন স্থানীয়দের পাশাপাশি হাজারো পর্যটক একমাত্র এই জেটি ব্যবহার করছে। এখানে নেই বিকল্প জেটিও। অবজ্ঞার শিকার এই জেটি যে কোন সময় ধসে পড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
সেন্টমার্টিন্স ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, সেন্টমার্টিন্স কেন্দ্রিক ব্যবসায় সরকার কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। ব্যবসা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। আসছে পর্যটকবাহী জাহাজ। প্রবশে করছে নানান দেশের পর্যটক। এই জেটি প্রতি বছর ইজারা দিয়ে সরকার আয় করছে লাখ লাখ টাকা। এরপরও নেই সংস্কার।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন্সের পুরনো এই জেটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা। যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার নেয়া দরকার।
ইউপি সদস্য হাবিব খান বলেন , জেটির বিষয়ে বহুবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলেও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যা খুবই দুঃখজনক।
কেয়ারী সার্ভিসেস লিমিটেড’র ম্যানেজার শাহ আলম বলেন , ঝুঁকিপূর্ণ জেটির কারণে সেন্টমার্টিন্স বিমুখ হতে পারে পর্যটক । বিপর্যয় এড়াতে আপাততঃ রেলিংগুলো হলেও মেরামতের ব্যবস্থা করা দরকার।
স্থানীয়রা জানায়, এই জেটিতে দৈনিক পাঁচটি জাহাজ ভেড়ানো হয়। প্রতি জাহাজে অন্তত ৩০০ যাত্রী থাকে। পর্যটন মৌসুমে প্রতি জাহাজের যাত্রী বাড়ে দ্বিগুনের চেয়ে বেশী। এমন অবস্থায় দ্বীপের একমাত্র জেটিটি সংস্কার করা না হলে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশর অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত¡াবধানে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে এই জেটি নির্মাণ করা হয়। পরে এটি জেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। জেলা পরিষদ থেকে প্রতিবছর এ জেটি ইজারা দেওয়া হয়। আদায় করা হয় টোল। কিন্তু সংস্কার নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কতৃপক্ষের।
এ প্রসংগে কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য (টেকনাফ) আলহাজ্ব শফিক মিয়া বলেন, সেন্টমার্টিন্স জেটি সংস্কারের জন্য একটি বাজেট বরাদ্দ জেলা পরিষদে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যা দ্রæত বাস্তবায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে সেন্টমার্টিন্সের জেটির তিনটি গার্ডার ও রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এখনো গার্ডার ও রেলিং সংস্কার করা হয়নি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমদ খান বলেন,টেকনাফ-সেনটমার্টিন যাত্রায় দমদমিয়ায় বিভিন্ন জাহাজের নির্দিষ্ট জেটি রয়েছে। কিন্তু সেন্টমার্টিন হতে ফেরার পথে শুধুমাত্র জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্মিত জেটিতে সকল জাহাজ তরী ভিড়ান। সবাই একটি জেটি দিয়েই টেকনাফের উদ্দ্যেশ্যেই রওয়ানা করেন। একটি জেটিই ভরসা সবার।

Comment here