জাতীয়

সৈয়দ আশরাফ হবেন রাষ্ট্রপতি

akbor-newsসাদ্দাম হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দুই দফা দায়িত্বপালন শেষে এবার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য (প্রেসিডিয়াম মেম্বার) নির্বাচিত হলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সজ্জন রাজনীতিক সৈয়দ আশরাফকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরে যেতে হলেও তাকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনতে যাচ্ছেন সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্যপুত্র সৈয়দ আশরাফকে বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষের পর দেশের রাষ্ট্রপতি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এই তথ্য জানায়।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ। ১৯৫২ সালে ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমএ ডিগ্রী লাভ করেন। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। পারিবারিক ঐতিহ্যের সূত্র ধরে তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি টানা দুইবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েছেন।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্য চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জনাব আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ১৬ জুলাই ২০১৫ তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তিনি এলাকায় বিভিন্ন সমাজসেবামূলক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি কাজে ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়ার বহুদেশ ভ্রমন করেছেন। তিনি এক কন্যার জনক।

Comment here