টেকনাফ

স্বামী-সন্তান রেখে ইয়াবা পাচারে ব্যস্ত রোহিঙ্গা নারীরা

টেকনাফ ভিশন ডেস্ক :

স্বামী-সন্তান রেখে ইয়াবা পাচারে ব্যস্ত রোহিঙ্গা নারীরা। এমন সহোদর দু’বোন’র সন্ধান পাওয়া গেছে যারা প্রতিনিয়ত স্থান বদলিয়ে ইয়াবা পাচারে দিন পাড় করেছে। এরা হচ্ছে লেদা রোহিঙ্গা বস্তির জালাল আহমদের মেয়ে হাসিনা ও শওকত আরা । এরা রোহিঙ্গা হিসেবে তালিকা ভুক্ত হলেও গোটা পরিবারই বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করেছে। শুধু তাই নয় জাতীয় পরিচয় পত্র হাতিয়ে নেওয়ার তালে বাংলাদেশী স্বামী বিয়ে করছেন এমনও চাউর হয়ে গেছে। এর মধ্যে হাসিনা কক্সবাজার পাহাড়তলীতে একজনকে বিয়ে করে বেশ ক’বছর সংসার করেছ্।ে সেই ঘরের দু’ সন্তানকে অন্যত্র দত্তক দিয়ে লেদা এলাকার মো: কাসেমের ছেলে রোহিঙ্গা যুবক মো: আয়ুবকে বিয়ে করে বছর দেড়েক আগে। এ ঘরে কোন সন্তান না নিয়ে নি পাড় করে হাসিনা। এর মধ্যে এখন স্বামী ছেড়ে অন্যত্র বিয়ের পিড়িত বসিয়ে দিব্যি আরামে ইয়াবা পাচারে ব্যস্ত হয়ে রয়েছে হাসিনা। হাসিনা বেশ কয়েক বছর মা মমতাজ বেগম, বোন শওকত আরাসহ টেকনাফ সদরের হাজাম পাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। সেখানে এসব কাজে বাধা দেওয়া এক মহিলাকে গত ১৩ জুন ইয়াবাসহ রামুতে ফাঁিসয়ে দেওয়ায় এখন ঘর ছাড়া হয়েছে। বর্তমানে টেকনাফ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডেও মুড়ার তলা নামক স্থানে সরকারী বনভূমির জমি ক্রয় করে নতুন বাড়ী তৈরী করে অবস্থান করছে । হাসিনার বিরুদ্ধে কুমিল্লা ও কক্সবাজারে দু’টি মাদক মামলা রয়েছে। একই ভাবে বোন শওকত আরা লেদা রোহিঙ্গা বস্তির মো: হোসেনের ছেলে মো: ছিদ্দিককে বিয়ে করে চার বছর আগে। তাদের সংসারে জন্ম দেয় আরো দুটি সন্তান। এর মধ্যে এক শিশু গত তিন মাস আগে জন্মের পরপরই মারা যায়। স্বামী ছেড়ে দু’ বছরের শিশু মোবারব হোসেনকে ফেলে শতকত আরা এখন পালিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছে বলে স্বামী মো: ছিদ্দিক অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, দু’ভায়রা ভাই টমটম ও রিক্সা চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন। কিন্তু তাদের স্ত্রীরা ইয়াবা পাচার করার জন্য প্রায় সময় অন্যত্র চলে যান। এ বিষয়ে বাধা দেওয়ায় এক পর্যায়ে ঘর হতে পালিয়ে যায়। এরমধ্যে বেশ কিছুদিন আগে হাসিনা নিজ স্বামী মো: আয়ুবকে দু’শ পিস ইয়াবাসহ চট্টগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন স্বামী। এ ফাঁকে অন্য একজনকে বিয়ে করে হাসিনা।
এ বিষয়ে হাসিনা ও শওকত আরার মা মমতাজ বেগম জানান, মেয়েরা আমার সাথে নেই। কে কখন কোথায় কি করে তারও আমার জানা নাই। তাই এদের দায়ভারও আমার না।
এ ধরনের শত শত রোহিঙ্গা নারী স্বামী-সন্তান ও সংসার ফেলে এ কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাশন ম্মদ আলী। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠদেও আরো কঠোর হওয়ারও দাবী জানান।

Comment here