এক্সক্লুসিভটক শোটেকনাফসারাদেশ

হোয়াইক্যংয়ে ইয়াবা গডফাদারের পিটুনিতে বহনকারী গুরুতর আহত

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম : হোয়াইক্যংয়ে ইয়াবা চোরাকারবারীদের প্রেরিত চালান বহনকারী কর্তৃক আতœসাতের অভিযোগের জেরধরে মতবিরোধের কারণে চিহ্নিত মাদক গডফাদারদের হামলায় বহনকারী গুরুতর আহত হয়েছে। এদিকে মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের পরও চিহ্নিত গডফাদারদের এই ধরনের তৎপরতা জনমনে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ২০মে সকাল ৭টারদিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উত্তর নয়াপাড়ার অসহায়-দিনমজুর মোঃ মীর কাশেমের পুত্র ও ইয়াবা চালানের চরনদার মোঃ রুবেল (২৫) ইয়াবার মালিক আব্দু মজিদের পুত্র মোঃ ইলিয়াছের বাড়িতে পাওনা টাকার জন্য যায়। এসময় ইয়াবা চালানের অপর মালিক মৃত অলি আহমদের পুত্র মোঃ শাহজাহান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ৩হাজার পিস ইয়াবার চালান প্রকৃত লোকের হাতে না দিয়ে আতœসাত করেছে মর্মে হাত-মুখ বেঁধে মারধর করতে থাকে। উভয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপী চরনদার যুবকের সর্ব শরীরে তুলোধোনো করার পর রক্ত বমি হলে গেইটের বাহিরে ফেলে দেয়। চরনদার রুবেলের চিৎকারে প্রতিবেশী লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন টাকা-পয়সা চাঁদা উত্তোলন করে মূমুর্ষ রুবেলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল গাফ্ফার এই ধরনের একটি ঘটনার খবর পেয়েছেন বলে জানান। এই ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে হামলার শিকার যুবক জানান, গত ১৮ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় উক্ত ইয়াবা গডফাদারেরা ৩০ হাজার টাকা মজুরী দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে শরীরে বিশেষ কৌশলে ৩হাজার ইয়াবার চালান ফিটিং করে ঢাকার ভৈরবে পার্টনারের নিকট দিতে পাঠান। পরদিন দুপুরে চরণদার ইয়াবার চালান বুঝে দেন। মাল গ্রহিতা তাকে রেলে তুলে দিয়ে ৫শ টাকা খরচের জন্য দেন। ২০ মে ভোররাত ২টায় চরনদার বাড়িতে ফিরে সকালে মজুরী টাকার জন্য ইয়াবার মালিক ইলিয়াছের বাড়িতে গেলে এই নৃশংস ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকার মাদক চোরাকারবারীরা দরিদ্র পরিবারের ছেলেদের টাকার লোভে ফেলে মাদকের চালান পাচার করে আসছে। এই ধরনের কর্মকান্ডে শিশু-কিশোরদের ব্যবহারকারী মাদক চোরাকারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দরকার।

Comment here