গত ১১জুলাই দৈনিক কক্সবাজার ৭১পত্রিকাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত “টেকনাফের হ্নীলায় জিন্নাহ ও মোস্তাকের নেতৃত্বে আবারো বেপরোয়া ইয়াবা বাণিজ্য” শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যা মূলত পারিবারিক শত্রুতার কারণে একটি পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী,খুনী ও অস্ত্রবাজ চক্রের সাজানো তথ্য সন্ত্রাস। ২০১৫সালের ৩ফেব্রুয়ারী সকালে ইয়াবা বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে দু‘পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরধরে বোরহান নিজ পরিবারের সদস্যদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়। যা উপস্থিত সকলেই দেখেছেন। স্পর্শকাতর এই মামলায় পারিবারিক শত্রুতার কারণে আমাদের জড়িয়ে শুধু হয়রানি করা হয়নি তারই পরিবার একচছত্র ইয়াবা বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণে নেয়। পারিবারিক ও নির্বাচনী বিরোধের কারণে আমাদের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হলে আদালতে আতœসর্ম্পন করে হাজতবাসের পর জামিনে বের হই। এখন এলাকায় জমি চাষাবাদ,লবণ উৎপাদন এবং ব্যবসা করে খুবই দুঃখ-কষ্টে জীবন কাটাচ্ছি। ছোট ভাই মোস্তাক আহমদ সরকারী প্রতিবন্ধি ভাতা নিয়ে চলছে। তাতেও ইয়াবা গডফাদার আর এই ইয়াবার কালো টাকা দিয়ে ঐ চক্রটি আজ জননেতার মুখোশ লাগিয়ে যা ইচ্ছে করে বেড়াচ্ছে। আগামী নির্বাচনেও আমাদের প্রতিদ্বন্দি ভেবে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদ প্রকাশ তাদেরই চক্রান্ত অংশ। মূলত কারা চট্টগ্রাম শহরের আলিশান বাড়িতে বসে ইয়াবা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে তা দেশবাসী জানেন। এমন কি সেখানকার একজন ব্যবসায়ীকে গুম করার অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত বিশেষ চক্রের খপ্পরে পড়ে কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি এসে স্থল ও সাগরপথে সমানতালে ইয়াবা চোরাচালান চালাচ্ছে। উক্ত সংবাদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা চোরাকারবারী মেম্বারের বক্তব্যে সব বিচারের রায় যেন প্রতিপক্ষের ঘাঁড়ে চাপিয়ে নিজেরাই সাধু। অথচ চলতি বছরের গত ১৫মে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ আলী খালীতে কার বাড়ির পেছন হতে বিপূল পরিমাণ ইয়াবা উদ্ধার করে কাদের পলাতক আসামী করেছে তা জেলাবাসী জানেন। এই বিচার আপনারই করবেন। সুতরাং আমরা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী:
দিদারুল ইসলাম জিন্নাহ ও মোস্তাক আহমদ
আলীখালী,হ্নীলা,টেকনাফ।
Comment here