টেকনাফসারাদেশ

হ্নীলায় ঘেরা-বেড়া ভাংচুর ও হয়রানির অভিযোগ!

সাদ্দাম হোসাইন,হ্নীলা:
হ্নীলায় সীমানা বিরোধের জেরধরে এক ব্যক্তির বসত-ভিটার ঘেরা-বেড়া ভাংচুরের পাশাপাশি উল্টো মিথ্যা মামলায় হয়রানি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দক্ষিণ আলীখালীর মৃত জইন উদ্দিনের পুত্র মৌঃ আবুল কালামের দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার আরএস ১৫০৫ খতিয়ানের ৭২৯৯ দাগে স্থিত বসত-ভিটা এবং মৃত বদিউর রহমানের পুত্র আইয়ুব আলীর দক্ষিণ হ্নীলা মৌজার আরএস ১৫০৫ খতিয়ানের ৭২৯৮ দাগে স্থিত বসত-ভিটা মধ্যে সীমানা বিরোধ নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে আইয়ুব আলী গং স্থানীয় সমাজ এবং মেম্বারের নিকট সালিশ দায়ের করে। বিচারের সিদ্বান্তমতে উভয়ের ভোগ-দখলীয় জমি পরিমাপের সিদ্বান্ত নেওয়া হলে বাদীপক্ষ বিচার অমান্য করে চলে যায়। এই বিচার শেষ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দপ্তরে গেলে উভয় পক্ষকে ডেকে সালিশে বসে। সুচতুর অভিযোগকারী কৌশলে কালক্ষেপন করে ২/৩ মাস গা ঢাকা দেয়। এরপর গত নভেম্বর মাসের শেষের দিকে আইয়ুব আলীর পুত্র জিয়াউর রহমান দুবাই হতে এসে কক্সবাজার এডিএম কোর্টে গত ১৩ আগষ্ঠ একটি এমআর মামলা-৬৫৪/২০১৭ইং দায়ের করে। এই মামলাকে পুঁজি করে তারা ২৪ নভেম্বর সকালে বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে মৌঃ আবুল কালামের ঘেরা-বেড়াসহ বার্থরোম ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়ে উল্টো থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। এই ঘটনার পর পরই ঐ যুবক আবারো বিদেশ পালিয়ে যায়। এই অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে টেকনাফ মডেল থানার এএসআই ইয়াকুব আলীকে দায়িত্ব দেওয়া হলে তিনি উভয়পক্ষের পৃথক সার্ভেয়ার দিয়ে বিরোধীয় জমি পরিমাণ করে প্রতিবেদন নেন। এরপর উভয় পক্ষকে সালিশে ডাকা হলে তাদের অনুপস্থিতি এবং উচ্চ আদালতে মামলার অজুহাতের কারণে সমাধান সম্ভব হচ্ছেনা। এই ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইয়াকুব আলী জানান, বিষয়টি সমাধানের জন্য তাদের ডাকা হলে একপক্ষের বিলম্বে উপস্থিতি এবং অপর পক্ষের উচ্চ আদালতমুখীর কারণে সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত পক্ষের আইয়ুব আলীর ছেলে নুর কামালের (মুঠোফোন-০১৮৭৯-৪৮৬৭৭৭) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিপক্ষের হাতে মৌঃ আবুল কালাম গংয়ের বসত-বাড়ির ঘেরা-বেড়া ভাংচুর এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী দ্বারা হুমকি-ধমকিসহ মিথ্যা মামলায় হয়রানির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন মহলের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Comment here