টেকনাফ

হ্নীলায় জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থা !

বিশেষ প্রতিবেদক : টেকনাফ উপজেলার একমাত্র (জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট) জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রে হ-য-ব-র-ল অবস্থা বিরাজমান থাকায় প্রকৃত মেধাবীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা প্রধান এবং অভিভাবকেরা চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে।
সরেজমিনে,৮ নভেম্বর দুপুর ১১টা ২৩মিনিটে হ্নীলা রঙ্গিখালী দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসায় একমাত্র জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রের নীচে পূর্ব পাশের টিন শেড হলের পরীক্ষার্থীরা দায়িত্বরত শিক্ষক উপস্থিত থাকার পরও অগ্রাহ্য করে ব্যাঞ্চের সবাই মিলে দেখে দেখে লিখছে। সাইক্লোন শেল্টার কেন্দ্রের পশ্চিম হলেও একই অবস্থা বিরাজমান। তবে পরীক্ষা শেষের ১৫মিনিটের দিকেও প্রধান ভবনের নীচের দুই হলরোমে একই অবস্থা দেখা গেছে। বিগত কয়েকটি পরীক্ষায় অংশ-গ্রহণকারীদের এই অবস্থা দেখে প্রকৃত মেধাবীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। অনেক পরীক্ষার্থী শিক্ষক ও অভিভাবকদের নালিশ করেছেন। কিন্তু হল নিয়ন্ত্রণে পেশাদার দূর্নীতিবাজ জড়িয়ে প্রতিষ্ঠানিক পাসেরহার বৃদ্ধির লোভে ফেলে অপর শিক্ষকদের নীরব করে রেখেছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফের এক মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির জনৈক সভাপতি ক্ষোভের সুরে বলেন,আমাদের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য রাত-দিন পড়াশুনা করে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষার্থী পড়ার টেবিলে না বসেও কেন্দ্রে টুপাইস মেরে ভাল ফলাফল করার স্বপ্ন দেখছে। কিছু দূর্নীতিবাজ শিক্ষক প্রতিষ্ঠানিক পাসেরহার বাড়ানোর জন্য যোগসাজশ করে পরীক্ষার্থীদের দেখে লিখে পাস করার সুযোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এরকম হলে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই কিভাবে হবে বলে প্রশ্ন ছুড়েন?
এই ব্যাপারে এক অভিভাবক ক্ষোভের সুরে বলেন,আমার পরীক্ষার্থীরাও উক্ত হলে পরীক্ষা দিচেছ। কিছু হলরোমে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে সহায়তার দায়িত্বরত অনেক শিক্ষক জড়িত বলে দাবী করেন। একজন মেধাবী পরীক্ষার্থী জানান,আমি অর্জিত জ্ঞানের পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্ব দেখাতে চাই। কিন্তু এই হলে গত ২/৩ দিনধরে যা হয়েছে তা বললে আমিই উল্টো বহিস্কার হয়ে যাব। হয়তো উক্ত এলাকায় পরীক্ষার হল বিধায় ঐ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা একটু বেশী সুযোগ নিচ্ছে। তাই নিজের অস্থিত্ব টিকিয়ে রাখতে পরীক্ষার হলে যা হয়েছে তা নীরবে মেনে নিতে হয়েছে। এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Comment here