এক্সক্লুসিভ

টেকনাফে গত বছরের অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লবণ চাষাবাদ শুরু

বিশেষ প্রতিবেদক:গত বছর লবণ চাষে চড়া দাম পাওয়ায় টেকনাফের কৃষকেরা আরো বেশী লবণ চাষের দিকে ঝুকঁছে। গত বছর ৮৮হাজার ২শ মেট্রিকটন লবণ উৎপাদন করলেও চলতি মৌসুমে চাষী জমি বেশী এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গতবারের চেয়ে বেশী উৎপাদন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়-পুরো কক্সবাজার জেলার জন্য ১৮লক্ষ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে টেকনাফের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত না হলেও উপজেলার সাবরাং টেকনাফ পৌর,সদর,হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লবণ চাষীরা গত বছরের তুলনায় বেশী জমিতে চাষাবাদ বেশী হচ্ছে। কোথাও পরিত্যক্ত জায়গা বলতে নেই। চলতি মৌসুমের লবণ চাষ শুরুর পুর্বেই আগাম মাঠে নেমে এখন অনেক মাঠ থেকে লবণ উত্তোলন করে শহরে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হচ্ছে। অনেক মাঠে এখনো জাত করার প্রক্রিয়া চলছে। গত ২০১৫-২০১৬ইং মৌসুমে টেকনাফ উপজেলায় প্রত্যন্ত এলাকায় ২হাজার ৭শ একর জমি হতে ৮৮হাজার ২শ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। গত বছর লবণের চড়া দাম পাওয়ায় অনেকে লোভের বশীভূত হয়েই নতুন করে লবণ চাষে নেমেছে। এদিকে হ্নীলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হোছাইন মুহাম্মদ আনিম জানান-গত বছরের তুলনায় এই বছর এই ইউনিয়নে ৫একরের বেশী মাঠে লবণ চাষ হচ্ছে। ২০১৬-২০১৭ইং মৌসুমে চাষ এবং উৎপাদন দুটিই সমানতালে বাড়তে পারে বলে লবণ শিল্পে জড়িতরা মনে করছেন। লবণ শিল্প বাঁচাতে লবণ আমদানী বন্ধ করতে হবে বলে তৃণমূল লবণ চাষীরা সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। এদিকে টেকনাফ বিসিক লবণ কেন্দ্র কার্য্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপজেলার পৌর এলাকা ও ৪টি ইউনিয়নে লবণ চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সীমান্ত জনপদ টেকনাফে গত বছরের তুলনায় আরো বেশী লবণ উৎপাদন হবে এবং দেশের লবণখাতকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখবে। ####

Comment here