টেকনাফসারাদেশ

টেকনাফে স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা অপরাধীরা ফের সংগঠিত হচ্ছে ঃ অপ্রীতিকর ও নৃশংস ঘটনার আশংকা

সাদ্দাম হোসাইন, হ্নীলা:
টেকনাফে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গা ও নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের স্বশস্ত্র রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এবং উগ্রপন্থী সদস্যরা আবারো স্বশস্ত্র অবস্থায় সংগঠিত হয়ে অপহরণ,ছিনতাই-হামলার ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। এতে রোহিঙ্গাসহ এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,উপজেলার বাহারছড়া,সাবরাং-শাহপরীরদ্বীপ,টেকনাফ সদর,হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকাসহ নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প ও লেদা রোহিঙ্গা বস্তির চিহ্নিত অপরাধীরা ফের সক্রিয় হয়ে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি ইয়াবা বিক্রি,সেবন ও চালান ছিনতাই নিয়ে নানা ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। গত ৭আগষ্ট বিকালে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের গোদারপাড় এইচ ব্লকের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী মোঃ আলম বাহিনী অপর ইয়াবা সংশ্লিষ্ট নেজামকে ১লক্ষ ৮০হাজার টাকা লেন-দেনের জন্য মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়ে মূমুর্ষাবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। এই বিষয়ে উক্ত মোঃ আলমের নিকট জানতে চাইলে এই জাতীয় কোন ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করেন। কিন্তু মোঃ আলম গং প্রভাবশালী হওয়ায় উক্ত নেজামকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ক্যাম্পে নিয়োজিত আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চমেকে প্রেরণ করেন। এই ব্যাপারে ক্যাম্পের একজন দায়িত্বশীল শরণার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত দাঙ্গা-হাঙ্গামা লেগেই আছে। কেউ প্রতিবাদ করলে মৃত্যুর হুমকি নেমে আসে। রাতের বেলায় স্বশস্ত্র চোরা হামলার ঘটনা ঘটে। তাই কোন প্রকারে মুখ বুজেই আছি। এরা দিনের পর দিন খুবই বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এদের কঠোর হস্তে দমন করা দরকার। অপরদিকে লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সি-ব্লকের ১০৮নং রোমে ফয়েজ প্রকাশ লুলু দা, কিরিচ তৈরী করে বিভিন্ন অপরাধীদের সরবরাহ করে আসছে আর মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করে বেড়ায়। এই ঘটনায় তাদের দু‘পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া পুরো উপজেলার লোকালয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। এর আগেও রোহিঙ্গারা বেপরায়া হয়ে পড়ায় নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের আনসার ব্যারাকে হামলা চালিয়ে অস্ত্র ও বুলেট লুটপাট এবং আনসার কমান্ডার খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সর্তক পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মত প্রকাশ করেন।

Comment here