টেকনাফসারাদেশ

লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে মাদক ব্যবসায়ী বেয়াইর হামলায় আহত বেয়াইনি এখনো হাসপাতালে

বিশেষ প্রতিবেদক:লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে পুত্রবধুর বেপরোয়া ও অনৈতিক কর্মকান্ডে বাঁধা দেওয়ায় মাদক ব্যবসায়ী বেয়াইর হামলায় গুরুতর আহত বেয়াইনী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা যায় গত ২১নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টায় লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুত্রবধুর বেপরোয়া ও অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় সি বøকের ১নং শেডের ২২নং রোমের মৃত আলী জোহারের স্ত্রী আজম বাহার (৪০)কে একই বøকের হাশেম উল্লাহ,স্ত্রী রশিদা বেগম,মেয়ে ছেনোয়ারা বেগম, জামাই দেলোয়ার ও দোস মোহাম্মদ মিলে হামলা চালায়। বেয়াই পক্ষের হামলায় গুরুতর আহত বেয়াইন আজম বাহারকে টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতাল হয়ে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আহত মহিলা জানায় গত ৪ বছর পূর্বে আজম বাহারের ছেলে মোঃ সলিমের সাথে হাশেম উল্লাহর মেয়ে মনোয়ারার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১টি সন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর হতে মনোয়ারা বিভিন্ন পুরুষের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। যা স্বামী ও শ্বাশুড় বাড়ীর লোকজনের চোখে ধরা পড়ে। ঘটনার দিনরাতে সি-বøকের নুর মোহাম্মদের পুত্র আব্দুল হাশিমের সঙ্গে মনোয়ারার অনৈতিক কর্মকান্ড দেখে ফেললে চারদিকে হৈ ছৈ পড়ে যায়। এতে মনোয়ারার প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী পিতা ক্ষিপ্ত হয়ে জামাই সলিমকে বাড়ীতে ডেকে এনে মারধর করতে থাকে। ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে মা উদ্ধার করতে আসলে শ^াশুড় বাড়ীর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সলিমের মার উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে বাড়ীর মালামাল পর্যন্ত লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার ৪দিন পার হলেও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না থাকায় আহত বেয়াইন হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। রোহিঙ্গা বস্তির চেয়ারম্যান ডাঃ দুদু মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এদিকে স্থানীয় গ্রামবাসী অভিযোগ করে জানায় উক্ত হাশেম উল্লাহর বাড়িতে মাদক ব্যবসা ও সেবনের আসর জমায় যুব সমাজ ক্রমশ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।

Comment here