টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচার

আটক ৩৪৫ রোহিঙ্গা মুসলিম ফেরতের অপেক্ষায়

teknaf-pic-03
টেকনাফ ভিশন ডেস্ক :
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের নাফনদী দিয়ে ফের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ৩৪৫ নারী, পুরুষ ও শিশুকে আটক করেছে বিজিবি। এরপরও অনেক অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মুসলিম হ্নীলা ষ্টেশনের উত্তর বিল ও লেদা ক্যাম্পে ঢুকেছে বলে জানায়।
২৫ ডিসেম্বর রবিবার ভোর ও সকালে হ্নীলা ষ্টেশনের উত্তর বিল এলাকায় অধিকাংশ রোহিঙ্গারা নতুন ছোট ঘর তৈরি করে অবস্থান নেয়। হ্নীলা এলাকায় রোহিঙ্গার অবস্থান দেখে বিভিন্ন গ্রামে অবস্থানরত বেশ কিছু রোহিঙ্গা পরিবার সেখানে ছুটে যায়।
রোহিঙ্গারা ছোট ঘর তৈরির খবরে রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম, ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাশেল সিদ্দিকী, হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য, সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত হয়। এ সময় সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে গড়ে উঠা প্রায় আড়াই শত ঘর সরিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গাদের একত্রিত করে রাখা হয়। সেখানে ৩৪৫ জন নারী, শিশু ও পুরুষ রয়েছে বলে জানায় বিজিবি। টেকনাফস্থ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর আবু রাসেল সিদ্দীকি জানান, হ্নীলায় রোহিঙ্গাদের ঝুপড়ী ঘর তৈরির খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা ওইসব ঘর উচেছদ করে ৩৪৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে। তাদের মাঝে শুকনা খাবার ও পানীয় জল দেওয়া হয়। এ সময় প্রশাসনের অবস্থান দেখে অসংখ্য রোহিঙ্গা পুরুষ সেখান থেকে সটকে পড়তে দেখা যায় ।
আটক রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় ও গোয়েন্দা সূত্রে জানাযায়, টেকনাফের হ্নীলা এলাকার ইসহাক হুজুরের ছেলে মাহবুব, আতিক ও আব্দুল রহমানসহ কয়েকজন লোক রোহিঙ্গাদের অবস্থানের জন্য ব্যবস্থা করে দেয়। এরা রোহিঙ্গাদের মাঝে পলিথিন ও বাঁশ সর্বরাহ করেছে। তাছাড়া হ্নীলায় রোহিঙ্গা অবস্থান নেওয়া জমিটিও মাদ্রাসার জমি বলে জানায়। তবে রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে কয়েকটি মহল নিজেদের সুবিধা হাসিল করে যাচেছন বলে জানা গেছে। এ সব মহলের কারনে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশে আরও উৎসাহিত হচেছ বলে জানায় স্থানীয়রা।
হ্নীলা ষ্টেশনের উত্তর বিলে ঝুপড়ী ঘর নিয়ে অবস্থান নেওয়া মিয়ানমার মংডু গওজি বিল এলাকার নূর মোহাম্মদ জানান, গত শনিবার রাতে ৬ পরিবারের ৩৬ জন রোহিঙ্গা নারী, শিশু ও পুরুষ নিয়ে হ্নীলা ফুলের ডেইল সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করি। পরে পাশ্বের একটি এলাকায় কোন মতে অবস্থান নিলেও হ্নীলা খালী বিল এলাকায় রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে পলিথিনের বাড়ী করে পরিবার নিয়ে অবস্থান নিলে আমরাও এসে পলিথিন দিয়ে একটি বাসা করে ৬ পরিবার একত্রে অবস্থান নিয়েছি।
তিনি আরও জানান, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা থাকার কোন পরিবেশ নেই। সেদেশের সেনা বাহিনীর বর্বরতা থেকে রক্ষা পেতে পরিবার নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছি। এখানেও অবস্থা খারাপ। আমরা এখন যাব কই। একমাত্র আল্লাহই ভরসা আমাদের মত রোহিঙ্গাদের।

Comment here