আন্তর্জাতিকরোহিঙ্গা সমাচার

টেকনাফে আফগান-পাকিস্থান কেন্দ্রিক প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা জঙ্গি সক্রিয় !

teknaf-pic-md-amin
টেকনাফ ভিশন ডেস্ক :
টেকনাফে আফগান-পাকিস্থান কেন্দ্রিক প্রশিক্ষিত রোহিঙ্গা জঙ্গিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিদেশ ফেরত কেউ কেউ এক সময় বাংলাদেশী পাসর্পোট তৈরী করে সৌদি আরব,ডুবাই,পাকিস্থান,আফগান ঘুরে টেকনাফে অবস্থান নিয়েছে। এরই পাশ্ববর্তী মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গা স্বজনদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। এদের কর্মকার্ন্ডে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত সর্ম্পক দূর্বল হয়ে পড়া বা দু’দেশের সাথে বন্ধুর্ত্বপূর্ণ সর্ম্পকে ফাটল ধরতে পারে এমন আশংকাও করছেন সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি টেকনাফের শরনার্থী ক্যাস্পে আনসার ব্যরাকে হামলা চালিয়ে আনসার কমান্ডারকে হত্যা ,১১ টি অস্ত্র ও গুলি লুট এবং মিয়ানমারের মংডু শহরের তিনটি ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ৯ জন বিজিপি সদস্যকে হত্যা, ৬৩ টি অস্ত্র ও ১০ হাজারেরও অধিক গুলি লুটের ঘটনায় এমন একটি সিন্ডিকেটের কর্মতৎপরতা বেশ আলোচিত হচ্ছে টেকনাফের সর্বত্র।
৮/১০ জন রোহিঙ্গা নাগরিকের সমন্বয়ে গঠিত একটি গোপন সিন্ডিকেটের পৌর এলাকার নাইট্যং পাড়ায় রহস্যঘেরা কর্মকান্ড অনেকের নজরে আসলেও প্রভাবশালীদের কারনে কেউ মুখ খুলছেনা । পুলিশ বলছে এমন সংবাদ জানা না থাকলেও চেষ্ঠা চলছে সিন্ডিকেটের বিষয়ে।
জানা গেছে, পাকিস্থান ,আফগানিস্থান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত হয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহন ও অপরাধ সংঘঠিত করে এসব বিদেশীরা টেকনাফে অবস্থান নিয়েছে। এদের বেশীর ভাগ সদস্য মিয়ানমার নাগরিক । নেতৃত্বে রয়েছে আফগানিস্থান হতে তালেবানী প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত রোহিঙ্গা বংশ্বোভূত দুবাই’র নাগরিক মোহাম্মদ আমিন ও পাকিস্থান হতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মিয়ানমারের বিদ্রোহী স্বশস্ত্র সংগঠন (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন) আরএসও সদস্য মিয়ানমার নাগরিক মোহাম্মদ তৈয়ুব। এ সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যরা হচ্ছে মিয়ানমারের মংডু থানার প্রাংপ্রæ এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে মোহাম্মদ রফিক, মংডু খারিপাড়ার কবির আহমদের ছেলে মৌলভী আয়াছ, মংডু নলবনিয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী মোহাম্মদ আয়ুবের স্ত্রী হামিদা বেগম । টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়া এলাকার জনৈক জাহেদ ও আলমের ভাড়া বাসায় বসে চলছে এদের গোপন কার্যক্রম। এ ছাড়া স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মোহাম্মদ শাহ আলমের বাড়ীর আশেপাশে হ্যচ্ছার খালের পার্শ্বে বসতি গড়ে তুলেছে সিন্ডিকেটের আরো কয়েকজন সদস্য। বেশীর ভাগ সদস্য বর্তমানে দিনের বেলায় জনসম্মুখে কম দৃশ্যমান হলেও রাতের বেলায় বিচরন চোখে পড়ার মত বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী এলাকার লোকজন। রাতের বেলায় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী নাফনদীর পাশ্বে দৌড়ঝাপ নিত্যদিনের ঘটনা। মাঝেমধ্যে এদের হাতে থাকে বড় বড় প্যাকেট। এসব প্যাকেট নাফনদী ক্রস করে পাচার হয়ে থাকে। এসময় এদের বাড়তি সদস্য সংখ্যা দেখা যায় বলে নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক কয়েকজন জেলে জানান। স্থানীয়দের ধারনা প্রশাসনের কাছে মোষ্ট ওয়ান্টেট টেকনাফে অস্থানকারী আলোচিত রোহিঙ্গা ডাকাত আব্দুল হাকিম এ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মিয়ানমার যাতায়াত করে। আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে টেকনাফ ও মিয়ানমার সীমান্তে খুন, ডাকাতি ও ইয়াবা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ইয়াবা পাচার ও নিজের ভিত মজবুত রাখতে এ সিন্ডিকেটকে সার্বিক সহায়তা দিয়ে থাকে এমন অভিযোগ বেশ আগের।
খোজঁ নিয়ে জানা যায়, মোঃ আমিন মিয়ানমারের মংডু নলবনিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। পিতা-মাতা সহ এরা থাকতো দুবাই। দুবাই থেকে একসময় মোঃ আমিন পালিয়ে আফগান চলে যায়। যোগদেয় তালেবান যোদ্ধা হিসেবে। খবর পেয়ে দুবাই সরকার তাকে ধরার চেষ্ঠা করলে সে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। টেকনাফের নাইট্যং পাড়ায় এক নিকট আত্বীয়ের আশ্রয়ে সে এখন বিভিন্ন রহস্যঘেরা কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আর এর তত্বাবধানে চলছে আব্দুল হাকিম ডাকাত ও বর্মী নাগরিক তৈয়ুব’র সব অপর্কম।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি মোঃ আব্দুল মজিদ জানান, এ ধরনের সংবাদ পুলিশের জানা নেই। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Comment here