ক্রাইমটেকনাফ

অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা, অনিয়ন্ত্রিত খুরের মুখ পয়েন্ট

কক্সবাজার প্রতিনিধি:
অপ্রতিরোধ্য ইয়াবা, অনিয়ন্ত্রিত খুরের মুখ পয়েন্ট। টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের খুরের মুখ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য বিশেষ স্পট। তবে এখন এটি ইয়াবা আনলোডের অন্যতম ক্ষেত্র। এখানে রাতের বেলায় লোকজনের যেমন আনাগোনা, তেমনি অপরিচিতি ও বহিরাগতদের বিচরণ ক্ষেত্রও। যদিওবা পাশেই রয়েছে একটি বিজিবি আউট পোস্ট। সাগরের তীরবর্তী ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের নৈর্সগিক সৌর্ন্দয্য কালিমা লেপন করে যাচ্ছে এখানে একটি শক্তিশালী ইয়াবা সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে, এলাকার চৌকিদার দফাদারকেও রাষ্ট্রীয় কাজ করতে বাধা দিচ্ছে । এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে।
জানা যায়, খুরের মুখ এলাকার হোছন শরিফের ছেলে মোঃ আামিন ও আলঅউদ্দিন, আব্দুল হাকিমের ছেলে আব্দুল হক ওরফে মিলিটারী, আলীর ডেইল এলাকার খুল্ল্যা মিয়ার ছেলে জাফর আহমদ, টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার রফিক ও নুরুল আলমের রয়েছে ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেট। এ সিন্ডিকেটের সদস্যদের বিরোদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। অনেকে পুলিশের খাতায় পলাতক। কিন্ত্র এলাকায় রয়েছে বহাল তবিয়তে। সিন্ডিকেট সদস্যরা দিনের বেলায় যেনতেন, রাতের বেলায় সুসংগঠিত হয়ে খুরের মুখে স্শ্বস্ত্র অবস্থায় অবস্থান নেন। সুযোগ বুঝে ট্রলার যোগে লাখ লাখ পিস ইয়াবা মিয়ানমার থেকে এনে খুরের মুখ পয়েন্ট দিয়ে আনলোড করে । এ সময় এলাকার অন্য কোন লোকজন ভয়ে ইয়াবা খালাস এলাকার আশে পাশে ঘেষঁতে পারে না। এরপরও প্রায় সময় ওখানে চলে ইয়াবা ছিনতাই’র মতো ঘটনা। ইয়াবা খালাস, ছিনতাই ও প্রতিরোধ নিয়ে এখানে চলে ত্রি মুখী কর্মকান্ড। এরপরও থামানে যাচ্ছেনা ইয়াবা প্রতিরোধ। বিশেষ করে মোঃ আমিন ও আলাউদ্দিন সহোদর হয়ে উঠেছে ওই এলাকায় অপ্রতিরোধ্য। তাদের বিরোদ্ধে হত্যা, ইয়াবা ও মানব পাচারের একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটলিয়ন অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ বলেন, খুরের মুখ একটি আলোচিত ইয়াবা স্পট হওয়ায় তা প্রতিরোধে সেখানে পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। আগের চেয়ে ইয়াবা পাচার ওই পয়েন্ট অনেকাট প্রতিরোধ হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ ধরনের একটি বড় ধরনের ইয়াবার চালান খালাসের খবর থানা পুলিশকে দিয়েছে এমন অভিযোগে স্থানীয় দফাদার আলী আহমদকে রাতের বেলায় খুরের মুখে ণিষ্দ্ধি ঘোষনা করেছে সিন্ডিকেট। শুধু তাই নয় ওই সিন্ডিকেটের সদস্য রফিক দফাদার আলী আহমদকে ডেকে প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলেছে, খুরের মুখে গিয়ে তাদের কাজে ডিসট্রার্ব করলে সাবরাং-টেকনাফ রুটে চলাচল করার সময় গাড়ী চাপা দিয়ে হত্যা করা হবে। তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে তা স্বীকার করলেও হুমকির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য রফিক।
এ ঘটনায় দফাদার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তিনি বলেন, বিষযটি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে এবং ষাধারণ ডাইরীও করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান বলেন, ইয়াবা কারবারীরা দফাদারকে হুমকি দিয়েছে তা অবগত হয়েছি। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এদিকে বিজিবি সদস্যরা শনিবার রাত ১০ টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জালিয়ার দ্বীপ সীমান্ত পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে আনার পথে ৩ লাখ ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। উদ্ধার হওয়া এসব ইয়াবার মূল্য ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন বিজিবি ২ ব্যাটলিয়ন অধিনায়ক লে.কর্ণেল আবু জার আল জাহিদ।

Comment here