কক্সবাজার

লবণ ও শুঁটকি উৎপাদনকারীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

লবণ ও শুঁটকি উৎপাদনকারীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজারের লবণ ও শুঁটকি উৎপাদনকারীর সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লবণ উৎপাদনকারী দেশের প্রধান লবণ উৎপাদন কেন্দ্র কক্সবাজারে একটি লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানানো হয়েছে। অপরদিকে শুঁটকি উৎপাদনকারী  বলেছেন, বিদেশে তাদের উৎপাদিত শুঁটকি রপ্তানির জন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার। কক্সবাজারের তৃণমূলের এ দুই প্রান্তিক মানুষ সরকার প্রধানের সঙ্গে তাদের দাবি ও মনের কথা বলতে পেরে দারুন খুশি।

আজ শনিবার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বিষয়ে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ ‘ভার্চুয়াল জনসভা’ কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেন লবণ উৎপানকারী হাবিব উল্লাহ ও শুঁটকি উৎপাদনকারী আতিক উল্লাহ।

কক্সবাজার উপকূলের লবণ উৎপাদনকারীরা এখন লবণের ন্যায্য দাম পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে লবণ উৎপাদনকারী হাবিব উল্লাহ লবণ বোর্ড গঠনের দাবি জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আরো বলেন, “আমরা মাঠে সূর্যের তাপে লবণ উৎপাদন করি। আর সেই লবণ বিক্রি করি কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা। অথচ বাজারে প্রতি কেজির প্যাকেট লবণ বিক্রি করা হয় ৪০ টাকায়।”

বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত সামুদ্রিক মাছ সূর্যতাপে উৎপাদিত শুঁটকিকে রপ্তানি শিল্পে পরিণত করার অনুরোধ করে শুঁটকি উৎপাদনকারী আতিক উল্লাহ কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে সুপরিসরে শুঁটকি মহাল স্থাপন ও যোগাযোগের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানান। পরে লবণ ও শুঁটকির এ প্রান্তিক উৎপাদনকারীদ্বয় তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আমরা কখনো আশা করিনি, জীবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারব।  মনের কথা, সুখ-দু:খের কথা খুলে বলতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগছে।” প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা শুনে উত্তরে সব দাবি-দাওয়া পূরণ করবেন বলে আশ্বাস দেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচটি জেলা কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক, আলেম, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, ব্যবসায়ী, পুরোহিত, কৃষক, জেলে, লবণ এবং চিংড়ি উৎপাদনকারী, রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, নারীনেত্রী, ব্যবসায়ী নেতা, স্কাউটস, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী কমিটি, এনজিওকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী এবং শিক্ষার্থীসহ সব  শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

শুরুতে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। এর পর তিনি সামুদ্রিক গবেষণা জরিপ জাহাজ আর ভি মীন’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামসহ জেলার আট উপজেলায় প্রায় ৭২৪টি প্রজেক্টরের সাহায্যে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ সরাসরি অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

ভার্চুয়াল জনসভা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং স্থানীয় কেবল নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উদ্দীপনামূলক গান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ ‌এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।

Comment here