কক্সবাজারটেকনাফসারাদেশ

হ্নীলায় নদীতে পাওয়া ইয়াবা নিয়ে লংকাকান্ড

সাদ্দাম হোসাইন,হ্নীলা:
হ্নীলায় নাফনদীতে কাঁদায় পুতে রাখা একটি ইয়াবার চালান চরজালের জেলেরা পাওয়ায় মালিকানা নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়,গত ১১জুলাই সন্ধ্যারদিকে উপজেলার হ্নীলাস্থ দক্ষিণ লেদায় পশ্চিম লেদার মাষ্টার হাফেজ আহমদ ওরফে কালা মিয়ার পুত্র শাহীন উদ্দিন,হাজী আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুর রহমান ও মোহাম্মদ আলম সিন্ডিকেটের ১লাখ তথা ১০কার্ড ইয়াবার চালান আসছিল। উক্ত চালানটি খালাস করার জন্য সিন্ডিকেট সদস্যরা নাফনদীর বেড়িবাঁধে অবস্থান নেন। কিন্তু বিজিবির টহল তৎপরতা চোখে পড়ায় তারা আতœগোপনে গিয়ে পর্যবেক্ষণে থাকে। ইয়াবার চালান আনা মিয়ানমারের চোরাকারবারীরা নিরুপায় হয়ে মাছ শিকারের জন্য পুঁেত রাখা চরজালের ভেতরে কাঁদায় বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রেখে ফিরে যায়। মাছ শিকাররত লেদা কুব্বাস পাড়ার রশিদ আহমদের পুত্র মোঃ সেলিম প্রকাশ তিমব্রু,নূরালী পাড়ার মোহাম্মদ হোছন ওরফে ল্যাং হোছনের পুত্র জাফর আলম,শিয়াইল্যাঘোনার নুর আহমদের পুত্র সরওয়ার কামাল প্রকাশ বোতা মিয়ার নেতৃত্বে একদল জেলে মাছ শিকারের সময় পায়ের নীচে শক্ত বস্তুু পেয়ে দেখে ইয়াবার চালান। তা নিয়ে দ্রুত চলে আসার সময় মালিক সিন্ডিকেটের সদস্যরা ধাওয়া করে। রাতেই উক্ত ইয়াবার চালানের মালিকানা নিয়ে মালিক পক্ষ এবং জেলে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের উপক্রম হয়। অবশিষ্ট ৫০হাজার ইয়াবার চালানটি মালিক পক্ষ নিরাপদে নিয়ে আসে বলে একাধিক সুত্র দাবী করেন। এই ইয়াবার মালিকানা নিয়ে ১২জুলাই দক্ষিণ লেদায় আবারো দু‘পক্ষের মধ্যে উত্তেজনায় উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে স্থানীয় বিজিবি জওয়ানেরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দু‘পক্ষই পালিয়ে যায়। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহীন উদ্দিনের সাথে প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান,আমি এই জাতীয় চালানের সাথে সম্পৃক্ত নই। হয়তো কেউ শত্রুতামূলক আমার নাম জড়াচ্ছে। তা নিয়ে দু‘গ্রুপের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় যেকোন মুর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানির মতো ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে। এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন খাঁন সাংবাদিকদের বলেন,ইয়াবা পাচারকারী,মজুদ ও বহনকারীসহ কাউকে রেহাই দেওয়া হবেনা। সবাইকে আইনের কাঠগড়ায় আনাহবে। তবে প্রকৃত ঘটনা যাচাই করে দেখার জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে।

Comment here