সারাদেশ

খাদিজা আজ সাক্ষ্য দিতে যাচ্ছেন না

টেকনাফ ভিশন ডেস্ক:হত্যাচেষ্টা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আজ রোববার আদালতে যাচ্ছেন না সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এক মাস সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সিআরপি) চিকিৎসক ডা. সাঈদ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন তিন ঘণ্টা করে থেরাপি দেওয়া হয় খাদিজাকে। এ অবস্থায় তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব নয়। খাদিজার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার দিক চিন্তা করে আদালতে সময় আবেদন করা হয়েছে।’

রোববার (৮ জানুয়ারি) সিলেটের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে খাদিজার সাক্ষ্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিলো। সুস্থ হলেও এখনও খাদিজা বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তার চাচা আবদুল কুদ্দুস।

এর আগে এ মামলায় আরও ৩২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।

গত ৩ অক্টোবর বদরুল আলম নামে এক বখাটের হামলার শিকার হন খাদিজা। সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার ওপর হামলা চালান বদরুল।

ওই বখাটের চাপাতির উপর্যুপুরি আঘাতে মাথা ও পায়ে গুরুতর জখম হন খাদিজা। ঘটনার পর বদরুল আলমকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলায় কারাগারে রয়েছেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল।

গুরুতর আহত খাদিজাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে ওসমানী হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসার পরেই তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। এছাড়া তার দুই হাতে সফল অস্ত্রোপচার হয়।

দীর্ঘদিন রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসার পর খাদিজাকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়া হয়। হাসপাতাল ছাড়ার আগে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সামনে এসে সবাইকে ধন্যবাদ জানান খাদিজা। একই সঙ্গে দেশবাসীর দোয়া চান তিনি।

এদিকে গত ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বদরুল। আর ৮ নভেম্বর তাকে একমাত্র আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহপরান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-উর-রশিদ।

১৫ নভেম্বর মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত ২৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। ৫ ডিসেম্বর আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন ১৭ জন ও ১১ ডিসেম্বর আরও ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আর খাদিজার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৮ জানুয়ারি সময় নির্ধারণ করেন আদালত।

Comment here