টেকনাফরোহিঙ্গা সমাচারসারাদেশ

টেকনাফে দিনদুপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত, ৩ পুলিশ আহত : গ্রেফতার-৩

মুহাম্মদ জুবাইর:

টেকনাফে দিনদুপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জকির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ও তার ভাগিনা।
অজি উল্লাহ (৩০) নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। নিহত অজি উল্লাহ মিয়ানমারের মংডুর শহরে ইনসং গোদাপাড়া ও বর্তমানে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লকের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে। শুক্রবার (৬ মার্চ) বিকাল চারটার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া পাহাড়ের পাদদেশে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হচ্ছে- টেকনাফ মোছনী নয়াপাড়া ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো: খোরশেদ আলম (৩৯), টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের নজির আহমদের ছেলে মো: সাইফুল ইসলাম (২০) ও টেকনাফ জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং- ২৭নং, ব্লক-বি/১১ এর বাসিন্দা আব্দুর রকিমের ছেলে মো: আমিন (২৫)।

এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১টি বিদেশী পিস্তল,

দেশীয় তৈরি ৩টি এলজি অস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালীখোসা, ২ হাজার ইয়াবা ও বিভিন্ন বাহিনীর নকল বেশ কয়েকটি পোষাক উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা ডাকাত। এসময় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম এস দোহা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন ও কনস্টেবল খোকন মিয়া আহত হয়েছেন।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া এলাকার পাহাড়ে একদল রোহিঙ্গা ডাকাত অবস্থান করছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম এস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি বর্ষণ করে। এ সময় পুলিশ ও কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করলে উভয় দলের মধ্যে কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। অপরাপর ডাকাত ও সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাইমা সিফাত বলেন, শুক্রবার বিকেলে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিসহ চারজনকে হাসপাতালে আনেন। এর মধ্যে অজি উল্লাহর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে দুইটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া আহত পুলিশের তিনজন সদস্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে রাখা হয়েছে এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জকির বাহিনীর সদস্য ৭ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছিলেন ।

Comment here