টেকনাফসারাদেশ

লেদার ইয়াবা রাজ্য এখন শাহিন-শামসুর নিয়ন্ত্রণে

বিশেষ প্রতিনিধি : লেদার ইয়াবা জগত এখন শাহিন-শামসুর নিয়ন্ত্রণে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে আইন শৃংখলা বাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে লেদার শাহিন-শামসু হ্নীলার বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বড় বড় ইয়াবার চালান তুলে দিবারাত্রি প্রত্যন্ত এলাকায় পৌছে দিচ্ছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা জানায়, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর থেকে ইয়াবা চোরাচালান আশংকাজনকহারে বেড়ে গেছে। বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকার বাইরে চলে যাওয়ায় এই সিন্ডিকেট সহজে মাদক ব্যবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এদিকে চলতি সনের গত ৯ অক্টোবর ভোর রাতে এস.আই নির্মল চাকমা টেকনাফ থানা পুলিশের বিশেষ টীম নিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান এনে গণনাকালে পশ্চিম লেদার মাষ্টার হাফেজ আহমদ ওরফে কালা মিয়া মাষ্টারের পুত্র সিন্ডিকেট প্রধান শাহিন উদ্দিন, পূর্ব লেদার আবুল কাশেমের পুত্র শামসুল আলম, কামাল হোছনের পুত্র তোফাইল আহমদ পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও পশ্চিম লেদা এলাকার মৃত আবুল কাশিমের পুত্র আব্দুর রহমানকে ৬হাজার পিচ ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক করে। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পালিয়ে যাওয়া তিন জনকে পলাতক আসামী করে আব্দুর রহমানকে মাদক আইনে মামলা রুজু করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। এদিকে গত মাসে হ্নীলার একটি আবাসিক হোটেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ৪০হাজার পিচ ইয়াবাসহ লেদার ৫ রোহিঙ্গাকে আটক করে। এসব মাদক শামসু সিন্ডিকেটের বলে জানা গেছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সিন্ডিকেট প্রধান শাহিন চলতি সনে ইয়াবা বস্তা আনতে গিয়ে বিজিবির হাতে আটক হয়ে মানবপাচারকারী হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালতের সাজা ভোগ করে এলাকায় ফিরে এসে সেই চিরচেনা মাদক জগতে স্বরূপে আর্ভিভুত হয়েছে। এই সিন্ডিকেট স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছত্রছায়া হয়ে সুযোগ সুবিধা আদায় করে আসছে বলেও এলাকাবাসী সুত্র জানায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নির্ভরযোগ্য সুত্র আরো নিশ্চিত করেন যে, শাহিনের নেতৃত্বাধীন এই সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। সিন্ডিকেট সদস্য আব্দুর রহমান ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটকের পর সিন্ডিকেট প্রধান শাহিন উদ্দিন ও শামসুল আলমের নেতৃত্বে জোরে শোরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানায়,এরা এতই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে প্রাণ নাশের সম্ভাবনা রয়েছে রয়েছে। লেদার প্রজন্মকে বাঁচাতে শাহিন-শামসুসহ সব মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাইন উদ্দিন খাঁন জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সব সময় জিরো টলারেন্স। শাহিন-শামসু কেন? যেই হোক, তাদেরকে খুঁজে বের করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টেকনাফের সহকারী পরিচালক লুকাশীষ চাকমা জানান, আসলেই গত মাসে হ্নীলার আবাসিক হোটেল থেকে ইয়াবাসহ আটককৃত রোহিঙ্গারা লেদা এলাকার। ঐএলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মাদক ব্যবসায়ী রোহিঙ্গাদের দিয়ে ইয়াবা চোরাচালান করছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি অবগত হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর উক্ত এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রয়েছে

Comment here