টেকনাফদৃষ্টিপাত

হ্নীলায় মায়ের ব্যাংকের অর্থ দিয়ে গর্ভকালীন বিপদ তাড়ালেন তসলিমা আক্তার

সাদ্দাম হোসাইন:হ্নীলা সূর্যের হাসি ক্লিনিক কর্তৃক প্রচলিত “মায়ের ব্যাংকের অর্থ দিয়ে গর্ভকালীন বিপদ তাড়াই” শ্লোগানে অনুপ্রাণিত হয়েই নিজেই মায়ের ব্যাংকের জমানো টাকা দিয়েই গর্ভকালীন বিপদ তাড়ালেন গৃহবধু তসলিমা আক্তার।
গত ১২জানুয়ারী দুপুর ১২টারদিকে প্রসব বেদনা নিয়ে হ্নীলা সূর্যের হাসি ক্লিনিকে আসেন দরগাহ পাড়ার হোছন আহমদের সহধর্মিনী তসলিমা আক্তার। কর্তব্যরত প্যারামেডিক বাবুটি রাণী দাশ উক্ত গর্ভবর্তীকে পর্যবেক্ষণের পর রাত্রিকালীন প্রসব সময় নির্ধারন করেন। রাত সাড়ে ৭টারদিকে উক্ত গর্ভবর্তীর প্রসবজনিত তীব্র যন্ত্রণা শুরু হলেই কর্তব্যরত প্যারামেডিক বাবুটি রাণী দাশ সহকর্মীদের নিয়ে সুষ্ঠুভাবে তসলিমার প্রসব কাজ সম্পন্ন করেন। অন্ধকারের বুক চিরে আলোয় ভেসে উঠে ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তান। তখন আনন্দেন আতœহারা তসলিমা ও হোছেন দম্পতিসহ পরিজনেরা। জন্মের পর শিশুটির ওজন হয় আড়াই কেজি। ক্লিনিকের ম্যানেজার বাবু অজয় কুমার চৌধুরী প্রসূতি মাকে বুকের দুধের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গিয়েই এক পর্যায়ে স্বামী হোছাইন আহমদ জানান তার স্ত্রীর গর্ভকালীন পরিচর্যার সময় ক্লিনিক হতে একটি মায়ের ব্যাংক নিয়েছিল। সেখানে তারা গর্ভকালীন ১হাজার ৭শ ২৩টাকা সঞ্চয় করেন। ক্লিনিকের নিয়মানুসারে মায়ের ব্যাংকের গচ্ছিত অর্থের বিনিময়ে প্রসব সেবা দেওয়া হয়। প্রসব খরচ ২হাজার ৫শ টাকা হলেও ক্লিনিকের ঘোষণা অনুযায়ী ১হাজার ৭শ টাকা দিয়ে উক্ত প্রসূতিকে এই সেবা দেওয়া হয়। মায়ের ব্যাংকের এই সেবা পেয়ে আবেগা আপ্লুত তসলিমা প্রত্যেক গর্ভবর্তী মাকে আপদকালীন বিপদ তাড়ানোর জন্য মায়ের ব্যাংক ব্যবহারের আহবান জানান।
এই ব্যাপারে হ্নীলা সূর্যের হাসি ক্লিনিক ম্যানেজার বাবু অজয় কুমার চৌধুরী সর্বস্তরের মিডিয়ার মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার গরীব জনসাধারণ এবং গর্ভবর্তী মায়েদের নিরাপদ প্রসব সেবার স্বার্থে মায়ের ব্যাংক ব্যবহারের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। ###

Comment here