কক্সবাজারক্রাইমটেকনাফরোহিঙ্গা সমাচারসারাদেশ

উদ্ধার হয়নি জাহাজপুরার অপহৃত ৮ হন, মুক্তিপন দাবী

ডেস্ক নিউজ:
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় পাহাড়ি ঝিরি খালে মাছ শিকার করতে গিয়ে স্থানীয় ৮ গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের পরিবারের কাছে মুক্তি পন দাবী করেছে।
২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্বৃতি দিয়ে টেকনাফ থানার পুলিশ জানিয়েছে গতকাল রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের ৮/৯ জন বাসিন্দা পাশ্ববর্তী পাহাড়ি এলাকায় ঝিরি খালে মাছ শিকার করতে যায়। সন্ধ্যায় তারা ফিরে আসার সময় একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করে পাহাড়ের গভীরে নিয়ে যায়। রাতেই সন্ত্রাসীরা ভুক্তভোগী পরিবারের কাছে মুঠোফোনে মুক্তি পন দাবী করে।

স্হানীয়রা জানিয়েছে পাহাড়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা এই অপহরণ করেছে। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জাহাজপুরা গ্রামের রশিদ আহমেদের ছেলে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্র আবছার উদ্দিন(২৪) ছৈয়দ আমিরের ছেলে নুরুল মোস্তাফা, করিম উল্লাহ, নুরুল হকের ছেলে নুর মোহাম্মদ, রশিদ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ উল্লাহ, মাষ্টার রুস্তম আলীর ছেলে সেলিম উল্লাহ, মমতাজ আহমদের ছেলে রিদোয়ান ও নুরুল হক।

নুরুল মোস্তফা ও করিম উল্লাহর মামাতো ভাই আতিক জানান, সন্ত্রাসীরা প্রতিজনের কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করেছে।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ বাহারছড়াসহ টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী অপহরণ কারী চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে প্রাণে ফিরেছে।

বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, অপহরণের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া অপহরণকারী চক্রটিকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। যেহেতু ৮ জন মানুষ একসাথে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এতে বড় কোন সন্ত্রাসী গ্রুপ পাহাড়ে অবস্থান নিয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের খবর পাওয়ার পর থানা পুলিশের টীম তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে রবিবার রাতে জাহাজপুরা এলাকা থেকে সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। ধৃত যুবক হ্নীলা ইউনিয়নের আলী খালী এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ধৃত যুবক পাহাড়ে অবস্থানকারী সন্ত্রাসীদের রশদ সরবরাহ করে থাকে। পুলিশ বলছে ধৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

Comment here